আজকাল ওয়েবডেস্ক: সন্তানকে আত্মবিশ্বাসী এবং সুশৃঙ্খল করা প্রত্যেক বাবা-মায়ের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু এই কাজটি বেশ কঠিনও বটে। শিশুর আত্মবিশ্বাস এবং আচরণ মূলত তার জিন, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি, অভিভাবকত্বের ধরণ এবং শৈশবের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে। তবে কিছু কৌশল ঠিকমতো কাজে লাগালে শিশুরা আত্মবিশ্বাসী এবং শ্রদ্ধাশীল হয়ে ওঠে।
১। স্বাধীনতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দিন
শিশুকে বয়সোপযোগী ছোটখাটো সিদ্ধান্ত নিজের মতো করে নিতে দিন। এতে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জন্মায়। যেমন, দু’টো পোশাকের মধ্যে কোনটি পরবে বা কোন খেলাধুলোয় অংশ নিতে চায়, সেই সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে দিন। ‘আমেরিকান সাইকোলজিস্ট’ জার্নালে ২০০০ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, শিশুর এই স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিলে তার মানসিক চাহিদা পূরণ হয়, যা তাকে ভিতর থেকে নতুন কাজ করতে উৎসাহিত করে এবং সুস্থ মানসিক বিকাশে সাহায্য করে।
২। সুস্পষ্ট সীমারেখা তৈরি করুন
কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না, সেই সীমা সম্পর্কে অবগত থাকলে শিশুর বিকাশ ভাল হয়। এটি শিশুকে দায়িত্বজ্ঞান শেখায়। আবার স্বাধীনতার স্বাদও দেয়। ‘ডেভেলপমেন্টাল সাইকোলজি’ জার্নালে ১৯৯১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত বাবা-মা স্নেহের সঙ্গে সুস্পষ্ট নিয়মকানুন প্রয়োগ করেন, তাঁদের সন্তানেরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং সামাজিক হয়।
৩। সাফল্যের চেয়েও প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন
‘মাইন্ডসেট: দ্য নিউ সাইকোলজি অফ সাকসেস’ শীর্ষক ২০০৬ সালের একটি গবেষণাপত্রে জন্মগত প্রতিভার পরিবর্তে শিশুর প্রচেষ্টার প্রশংসা করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রচেষ্টার প্রশংসা করলে শিশুর মধ্যে ‘গ্রোথ মাইন্ডসেট’ তৈরি হয়, যার ফলে সে কঠিন পরিস্থিতিকে বিপদ না ভেবে শেখার সুযোগ হিসেবে দেখে। তাই 'তুমি খুব বুদ্ধিমান’- এর বদলে বলুন, ‘তুমি যে পরিশ্রম করেছ, তাতে আমি গর্বিত’।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর পিঠ জিভ দিয়ে চেটে দেয় পুরুষ, স্ত্রী যদি পাল্টা লেহন করে, তবেই হয় মিলন! পৃথিবীর একমাত্র জীবিত ড্রাগন এরাই
৪। নিজে আত্মবিশ্বাসী ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ করুন
শিশুরা বড়দের দেখেই শেখে। যে অভিভাবকেরা শান্ত ভাবে মানসিক চাপ সামলান, শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা বলেন এবং নিজেদের প্রতি আস্থা রাখেন, তাঁদের সন্তানেরাও সাধারণত সেই পথই অনুসরণ করে। ‘সাইকোলজিক্যাল রিভিউ’ জার্নালে প্রকাশিত ১৯৭৭ সালের একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, শিশুরা তাদের অভিভাবকদের আচরণ, মনোভাব এবং বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার অনুকরণ করে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর পিঠ জিভ দিয়ে চেটে দেয় পুরুষ, স্ত্রী যদি পাল্টা লেহন করে, তবেই হয় মিলন! পৃথিবীর একমাত্র জীবিত ড্রাগন এরাই
৫। সমস্যা সমাধান এবং ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিকতা তৈরিতে উৎসাহ দিন
প্রতিটি সমস্যা থেকে শিশুকে উদ্ধার না করে, তাকে নিজেই ছোটখাটো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে দিন। সরাসরি উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে প্রশ্ন করুন, আলোচনা করুন এবং সমাধানের পথ খুঁজছে সাহায্য করুন। ‘আমেরিকান সাইকোলজিস্ট’ জার্নালে ২০০১ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, ছোট ছোট ব্যর্থতার সম্মুখীন হওয়া এবং তা কাটিয়ে ওঠা শিশুদের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলার দক্ষতা, অধ্যবসায় এবং আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে।
