আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সন্তানকে ছাড়া বাইরে কোথাও বেড়াতে গেলে মন খারাপ হয়ে যায় বাবা মায়ের।ওদের খুশি করতে কিছু একটা উপহার কিনে তবেই বাড়ি ফেরা।স্কুলে ভাল রেজাল্ট হোক, জন্মদিন বা যে কোনও বিশেষ দিন। তার যতই দাম হোক না কেন।সবাই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী বাড়ির ছোট্ট সদস্যটিকে খুশি করতে চায়। উপহার মনের মতো হলে বেজায় খুশিও হয়।
কিন্তু আপনার সন্তানের বয়স যতই হোক, উপহার কেনার আগে অনেক কিছু ভেবে নিতে হবে।মনে রাখবেন, আপনার উপহার বাছাইয়ে ভুল হলে আপনার শিশুর ভবিষ্যতে তার খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।জেনে নিন কোন উপহার ভুলেও কিনবেন না।
অভিভাবকদের উপহারের তালিকায় এমন কিছু জিনিস থাকে যাতে শিশুরা ভীষন খুশী ও আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। কিন্তু প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি খেলনা বা কস্টিউম জুয়েলারি কখনও কিনে দেবেন না।সস্তা ও দেখতে আকর্ষনীয় হলেও এই জিনিসগুলো লিড, বিপিএ দিয়ে তৈরি করা হয়।যা ভুলবশত খেয়ে নিলে বা ত্বকের মধ্যে দিয়ে শরীরে প্রবেশ করলে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এই যুগের বাচ্চারা সাধারণত ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেটের অন্ধ ভক্ত হয়। স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ট্যাবলেট উপহার হিসেবে পেলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। কিন্তু এসবের অতিরিক্ত ব্যবহার এর পরিণতি ভালর থেকে খারাপ হয়। স্ক্রিনিং টাইম বেশি হলে ঘুম কম হওয়া, চোখের দৃষ্টিশক্তি দূর্বল হয়ে যাওয়া ও শারীরিক গতিবিধি খেলা সব কিছুই কমে যায়। শিশুরা মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ে।অথবা এইসব গয়না বা খেলনায় ধার থাকলে মুখে চলে গেলে অঙ্গ কেটে যেতে পারে।সুতরাং এই ধরণের জিনিস একেবারেই দেবেন না।
মিষ্টি ও চিনির তৈরি কেক, প্যাস্ট্রি, পুডিং বা চকলেট জাতীয় খাবার বাচ্চাদের কিনে দেবেন না। অতিরিক্ত খেলে ছোট থেকেই ওবেসিটি, দাঁতের ক্যাভিটি বা টাইপ ২ ডায়বেটিস পর্যন্ত হতে পারে।
ভিডিও গেম খেলার ও কেনার ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।এই ধরণের জিনিসে আগ্ৰাসী মনোভাব ও খারাপ, অসামাজিক ভাষা প্রয়োগ করা হয়, যা শিশুর মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব ফেলে ও তার ব্যবহারেও সেই ছায়া দেখা যায়।
শিশুর জন্য উপহারে পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকুন।সুতি ও ঢিলেঢালা পোশাক পরানো উচিত ওদের। আঁটোসাঁটো সস্তার কাপড়ে স্টাইল হলেও শিশুর জন্য তা বিরক্তিকর হয়ে যায়।
