আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরলেই চাকরি খোঁজা কম-বেশি সকলেরই প্রধান লক্ষ্য হয়ে ওঠে। আর মনের মতো চাকরি পেতে হলে সবার আগে প্রয়োজন সফলভাবে ইন্টারভিউ পর্ব পেরনো। যার জন্য শুধু পুঁথিগত শিক্ষাই নয়, ইন্টারভিউয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করাও প্রয়োজন। নচেৎ ভাল ইন্টারভিউ দিলেও চাকরির সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। বিশেষ করে বেশ কিছু কথা রয়েছে যা প্রথম সাক্ষাতে নিয়োগকর্তাকে বলা ঠিক নয়। তাহলে ইন্টারভিউয়ে কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখবেন, জেনে নিন- 

১. পূর্বের অফিস সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য ইন্টারভিউতে প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার আগের বস সম্পর্কে কোনও কটূক্তি শুনে আপনাকে নিয়ে নিয়োগকর্তার মনে খারাপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। বরং এমনভাবে বলুন যাতে বোঝায় যে আপনি আগের কর্মক্ষেত্রে শেখার সুযোগ পেয়েছেন, চ্যালেঞ্জ সামলেছেন এবং সম্পর্ক ঠিক রাখার চেষ্টা করেছেন।

২. “পারফেকশনিস্ট” শব্দটি এমন একটি শব্দ যা সন্দেহের উদ্রেক করে এবং এটি একটি বহুল ব্যবহৃত মিথ্যার মত শোনায়। তাই যদি ইন্টারভিউতে নিজেকে 'পারফেকশনিস্ট' উল্লেখ করেন, তাহলে আপনি আসলে দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টা করছেন বলে নিয়োগকর্তা ভাবতে পারেন। বদলে আপনি কীভাবে কাজ করেন অর্থাৎ নিজের কাজের ধরন নিয়ে কথা বলতে পারেন।

 ৩. সৎ থাকা ভাল কিন্তু ইন্টারভিউতে সরাসরি যদি বলে দেন আপনার কাজের কোনও অভিজ্ঞতা নেই তাহলে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বরং অভিজ্ঞতা না থাকলে ইন্টারভিউতে বুদ্ধি করে নিজের দক্ষতার কথা বলুন। সঙ্গে বলতে পারেন যে আপনি শিখতে খুব আগ্রহী। যদি প্রথম চাকরি হয় তাহলে ইন্টার্নশিপ বা প্রাসঙ্গিক কোনও ভলান্টিয়ার কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সেটি বলুন।

৪. ইন্টারভিউতে আপনার সিভি থেকে কোনও প্রশ্ন আসতে পারে। কিন্তু তার উত্তরে যেন বলবেন না, 'সিভি দেখে নিন'। এক্ষেত্রে যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, তিনি আসলে আপনার মুখ থেকে শুনতে চান যে ওই অভিজ্ঞতা বা স্কিল নিয়ে আপনার কী বলার আছে বা আপনি কীভাবে কাজ করেন। আবার সিভিতে যা লেখা আছে, শুধু সেটাই মুখে বলাও কিন্তু যথেষ্ট নয়। সমগ্র বিষয়টি গুছিয়ে বলাই শ্রেয়।

৫. যে অফিসে ইন্টারভিউ দিতে যাবেন সেটির বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকা দরকার। নিয়োগকর্তা যেন না ভাবেন যে ওই চাকরিতে আপনার তেমন আগ্রহই নেই। ইন্টারভিউতে ভাল ফল করতে হলে আপনি যে কোম্পানি আর পদের জন্য আবেদন করছেন, সে বিষয়ে ধারণা থাকা জরুরি।

৬. প্রথম ইন্টারভিউতে বিশেষ করে শুরুতে বেতন নিয়ে প্রশ্ন না করাই ভাল। এতে নিয়োগকর্তা ভাবতে পারেন, আপনার কাছে টাকাই সব, কাজটা বড় নয়। ছুটি বা বোনাসের ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। ইন্টারভিউয়ের একেবারে শেষে কাজ নিয়ে সব কিছু জানা হয়ে গেলে বেতন, ছুটির বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে পারেন।  

৭. 'আমার কোনও প্রশ্ন নেই'-চাকরিদাতাকে এই কথা বলাও ঠিক নয়। ইন্টারভিউয়ের শেষে প্রায়ই নিয়োগকর্তা জিজ্ঞেস করেন, “আপনার কিছু জানার আছে?” জানলে অবাক হবেন, এক্ষেত্রে ‘না’ বলাটা অনেকসময় ‘হ্যাঁ’ বলার চেয়েও খারাপ হতে পারে। কারণ? এতে মনে হয়, কোম্পানি বা কাজের পরিবেশ নিয়ে আপনার কোনও আগ্রহ বা কৌতূহল নেই।