আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভুট্টা কেবল রাস্তাঘাটে চাটমশলা দিয়ে খাওয়ার জন্য নয়। আধুনিক পুষ্টিবিদ্যা জানাচ্ছে, এ এক পরিপূর্ণ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যশস্য। সেদ্ধ, গ্রিলড বা ভাপা; যেভাবেই খান না কেন, নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ভুট্টা রাখলে শরীর যেমন পুষ্ট হয়, তেমনই রুচিও বজায় থাকে। অথচ এই শস্যটি বাঙালি রান্নাঘরে আজও অবহেলিত।
১. হজমে সহায়ক
 
 ভুট্টায় আছে প্রচুর পরিমাণে অদ্রবণীয় খাদ্যতন্তু বা ফাইবার। এটি অন্ত্রের গতিবিধি স্বাভাবিক রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে এবং পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি অন্ত্রে ‘গুড ব্যাকটেরিয়া’-র বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
২. হৃদ্রোগ প্রতিরোধে কার্যকর
 
 ভুট্টা ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। এই উপাদানগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ধমনির স্বাস্থ্য রক্ষা করে। নিয়মিত ভুট্টা খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা।
৩. চোখের যত্নে সহায়ক
 
 ভুট্টায় থাকে লুটেইন ও জিয়্যাক্সান্থিন নামক দু’টি প্রাকৃতিক ক্যারোটিনয়েড। ক্যারোটিনয়েড দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে বয়সজনিত চোখের রোগ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর এই উপাদান।
৪. দীর্ঘস্থায়ী শক্তি জোগায়
 
 ভুট্টা একটি জটিল কার্বোহাইড্রেট। এই শর্করা বিপাকে শরীরকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ে। সে কারণে ভুট্টা খেলে দীর্ঘক্ষণ শক্তি পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে সকালের জলখাবার বা বিকেলের স্ন্যাকস হিসাবে একটি দারুণ পুষ্টিকর খাবার হতে পারে এটি।
