আজকাল ওয়েবডেস্কঃ খাওয়ার পাশাপাশি কফি কাজে লাগতে পারে রূপচর্চাতেও। কারণ কফিতে রয়েছে, দুর্দন্তা এক্সফোলিয়েটর ও এর কারণে শরীরের রক্ত সঞ্চালনে উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে, যা ব্রণ, সেলুলাইটকে হ্রাস করে। কফিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কফির ফেস প্যাক ব্যবহার করলে মুখমন্ডলের মধ্যে জমে থাকা মৃতকোষগুলিকে দূরে সরিয়ে ত্বককে আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল দেখায়। সব ধরনের স্কিনের জন্যই কফির ফেস প্যাক ব্যবহার করা যায়। 

কফির বীজের গুঁড়ো বা দানায় ত্বকে মরা কোষকে সাফ করে তুলে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। ত্বকের উপর মরা কোষ জমা হলে জেল্লা হারিয়ে বিবর্ণ দেখায় চামড়া। তাই জেল্লা ফেরাতে হলে কাজে লাগান কফিকে। ফেসপ্যাকে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে তারপর হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা দ্বিগুণ হয়ে যায়।

ত্বকের বলিরেখা মলিন করে তারুণ্য ফিরিয়ে আনে কফি। একে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ত্বকে বয়সকে রুখে দিতে পারে। অন্যদিকে কফির ক্যাফিন স্টিমুলেট করতে পারে ব্লাড সার্কুলেশন। তাতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ত্বক। ডার্ক সার্কেলের সঙ্গে সঙ্গে চোখের আশপাশের ফোলা ভাবও মুছে ফেলে কফি। ধমনী শিরাগুলিকে রিলাক্স করে কফির ক্যাফিন। তরতাজা করে তোলে চোখের আশপাশের চামড়া।
কফির ক্যাফেন ড্যামেজ স্কিনকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। চোখের নীচে গভীর কালি অর্থাৎ ডার্ক সার্কেলের যম কফি। এই পানীয়ের প্রলেপে মুছে যায় ডার্ক সার্কেল।

কফির অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ ত্বকের প্রদাহ কমানোর ক্ষেত্রেও যথেষ্ট উপকারী। ব্রণর সমস্যা হলে তিন চামচ কফি, দু’চামচ চিনি আর তিন চামচ নারকেল তেল দিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে নেওয়া যায়। সারা মুখে তা মিনিট দশেক লাগিয়ে রাখুন। তার পর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। নিয়মিত এই পন্থা মেনে চললে তবেই উপকার পাবেন।