আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। আর বাংলার চাল মানেই সরু হোক বা মোটা, রঙে ধবধবে সাদা হওয়া চাই-ই চাই। কেউ কেই অবশ্য ঢেঁকিতে ভাঙানো লাল চালও খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন 'কালো চাল' বা ব্ল্যাক রাইস-এর কথা? আছে এমন চালও রয়েছে। দেখতে কালো হলেও এই চাল কিন্তু স্বাস্থ্যের বিচারে একেবারে চাল জগতের আলো!

এক সময়ে কেবল চীনের রাজপরিবারের জন্য সংরক্ষিত থাকত এই বিশেষ ধরণের চাল। এই চাল এতটাই মূল্যবান ছিল যে এর নামই হয়ে গিয়েছিল “ফরবিডেন রাইস”! আজ অবশ্য সেই 'নিষিদ্ধ' চাল আর নিষিদ্ধ নেই। জনসাধারণের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। আর ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজ্ঞানও বলছে এই চালের উপকারিতার কথা।

কালো চাল আসলে কী?
ব্ল্যাক রাইস প্রাকৃতিক ভাবেই কালো রঙের চাল, যা অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের জন্য এমন গাঢ় বেগুনি বা কালো রঙ ধারণ করে। এটি সাধারণ চালের তুলনায় অনেক বেশি পুষ্টিকর এবং গ্লুটেন-ফ্রি হওয়ায় অ্যালার্জিতে কষ্ট পাওয়া মানুষরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। স্বাদে কিঞ্চিত ঝাঁঝালো। টেক্সচার কিছুটা আঠালো হয় এই চালের।

১. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর
ব্ল্যাক রাইস-এর সবচেয়ে বড় শক্তি হল এতে থাকা প্রচুর পরিমাণ অ্যান্থোসায়ানিন, যা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধ, কোষের ক্ষয় রোধ এবং বার্ধক্যের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।

২. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত
সাধারণ সাদা চাল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হু-হু করে বাড়ে। কিন্তু ব্ল্যাক রাইস ধীরে হজম হয় কারণ এতে প্রচুর ফাইবার থাকে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ।

৩. হার্ট রাখে সুস্থ, কোলেস্টেরল কমায়
এই চালে থাকা ফাইবার ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়, হার্ট থাকে তরতাজা।

৪. হজমের সহায়ক, পেট হালকা রাখে
ব্ল্যাক রাইস ফাইবারে ভরপুর। ফলে এটি হজম প্রক্রিয়া মসৃণ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেট ফাঁপার সমস্যা কমায়। যাঁরা দীর্ঘদিন হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এটি হতে পারে সহজ ও প্রাকৃতিক সমাধান।