আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ভারতীয় শাস্ত্রে গোলমরিচের ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে। আগেকার দিনে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হত এই উপাদান। এই ভারতীয় মশলা কিন্তু আর্য়ুবেদিকদের কাছেও বিশেষ জনপ্রিয়। পেট ফাঁপা, হজম, অম্বলের সমস্যায় খুব ভাল কাজে দেয় গোটা গোলমরিচ। এছাড়াও মৃগীর চিকিৎসাতেও কিন্তু ব্যবহার করা হয় গোলমরিচ। গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে পিপারিন, যা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। হার্টের সমস্যা, ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস, হাঁপানি, ডায়াবিটিস-সহ একাধিক রোগের প্রতিকার করে। প্রোস্টেট ক্যানসার, কোলন ক্যানসার এবং স্তন ক্যানসার রুখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই গোলমরিচের। কারণ গোলমরিচের মধ্যে থাকা পিপারিন ক্যানসার কোশের বৃদ্ধিও রুখে দেয়।
ইষদুষ্ণ জলে গোলমরিচের গুঁড়ো ফেলে একটু নেড়ে নিয়ে হালকা হালকা চুমুক দিয়ে খেলে শরীরে শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ে। কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায়। শরীরে জলের মাত্রা কমতে পারে না। সকালবেলা খেতে পারলে সারা দিন অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন। আবার কচি নিমপাতার সঙ্গে তিন চারটি গোলমরিচ সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খেলে সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এরপর একগ্লাস ইষদুষ্ণ জল খান।
রক্তে বিটা ক্যারোটিনের মাত্রা বাড়াতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে গোলমরিচের। যাদের প্রায়ই ঠান্ডা লাগে বা হাঁচি হয় ঘন ঘন,তাঁরা যদি কয়েকটা গোলমরিচ রোজ চিবিয়ে খেয়ে নেন,উপকার পাবেন। গোলমরিচের আর একটি উপকারিতা হল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ ক্ষমতা। এর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি এবং সংক্রমণ নিরাময়ে অত্যন্ত উপকারি।
কাশি এবং সর্দি নিরাময়ে গোলমরিচ খুব কার্যকর। আধ চামচ মধু ও এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে ফ্লু, গলা ব্যথায় কাজ করবে। এছাড়া আদা, দারচিনি ও এলাচ দিয়ে চায়ের সাথে অল্প গোলমরিচ থেঁতো করেও খেতে পারেন।
