আগামিকাল ৩০ অক্টোবরকে ঘিরে জ্যোতিষশাস্ত্রের জগতে এখন তুমুল আলোচনা। প্রাচীন জ্যোতিষগ্রন্থ ও আধুনিক জ্যোতির্বিদদের বিশ্লেষণ বলছে, এই দিনটি কয়েক দশকে একবারই আসে, যখন মহাবিশ্বের শক্তিগুলি এমনভাবে একত্রিত হয় যে পৃথিবীর প্রতিটি ক্ষেত্রে তার স্পষ্ট প্রভাব পড়ে।
জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, এই দিন সূর্য, চন্দ্র, মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মধ্যে এক অনন্য সমীকরণ তৈরি হবে। যাকে 'গ্র্যান্ড কসমিক অ্যালাইনমেন্ট' বলা হচ্ছে। এই চারটি গ্রহ এমনভাবে অবস্থান নেবে যে তা ইতিবাচক শক্তির প্রবাহকে তীব্র করবে। প্রাচীন বৈদিক জ্যোতিষের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যখন সূর্য ও বৃহস্পতি একত্রিত হয়, তখন জ্ঞান, সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির দরজা খুলে যায়। আর মঙ্গল ও চন্দ্রের সংযোগ মানসিক সাহস ও আবেগের ভারসাম্য আনে।
আরও পড়ুনঃ ভবিষ্যতের স্মৃতি বলে 'দেজা ভু'! আগামী দিনের ঝলক ফুটে ওঠে চোখের সামনে? অবাক করা আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দিন তিনটি বড় ক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে। যা হল-
১. সম্পর্ক ও ভালোবাসা: যাদের সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি চলছে, তারা সমাধানের পথ খুঁজে পাবেন। অব্যক্ত অনুভূতি প্রকাশের সাহস জাগবে, অনেকেই নতুন সম্পর্ক শুরু করার বা পুরনো সম্পর্ক মেরামত করার সুযোগ পাবেন।
২. আর্থিক ও পেশাগত ক্ষেত্র: হঠাৎ বিনিয়োগ বা ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া এদিন এড়িয়ে চলাই ভাল। তবে পরিকল্পনা, নতুন আইডিয়া বা কাজের গতি বাড়ানোর জন্য সময়টি খুব শুভ।
৩. মানসিক ও আধ্যাত্মিক ভারসাম্য: ধ্যান, প্রার্থনা, বা আত্ম-চিন্তনের জন্য ৩০ অক্টোবর অত্যন্ত উপযোগী দিন। এই সময় মন শান্ত হবে, পুরনো দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি মিলবে।

চারটি রাশির ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে। যা হল-
বৃষঃ মানসিক চাপ হালকা হবে, সম্পর্ক ও আর্থিক দিক দুটোই উন্নতির পথে যাবে।
মিথুনঃ নতুন কাজ, পার্টনারশিপ বা সৃজনশীল উদ্যোগ নেওয়ার পক্ষে সময়টি দারুণ শুভ।
বৃশ্চিক: আত্মবিশ্বাস ও নেতৃত্বের গুণ বেড়ে যাবে। দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা কেটে যেতে পারে।
তুলাঃ অপ্রত্যাশিত লাভ হতে পারে। শুভানুধ্যায়ীদের উপদেশ ও শিক্ষাকে সম্মান করবেন। কাজে মনোযোগ বাড়বে।
হিন্দু ও গ্রিক জ্যোতিষগ্রন্থে এমন দিনকে বলা হয়েছে 'কসমিক রিবার্থ' বা মহাজাগতিক পুনর্জন্মের সময়। যখন পুরনো শক্তি বিলুপ্ত হয়ে নতুন চেতনা জেগে ওঠে। অর্থাৎ, এই দিনটি হতে পারে জীবনের দিক পরিবর্তনের প্রতীক। জ্যোতির্বিদদের মতে, ৩০ অক্টোবর এমন এক মহাজাগতিক মুহূর্ত, যখন মানুষ নিজের ভিতরের শক্তিকে নতুনভাবে চিনবে। তাই এই দিনে নিজের ইচ্ছা, মন ও লক্ষ্যকে ইতিবাচক পথে চালিত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
