শীত পড়তে না পড়তেই গলা খুসখুস শুরু হয়ে গিয়েছে? অনেকের তো আবার কাশির দমক থামছেই না। শীতকালে এ সমস্ত সমস্যা নতুন কিছু নয়। গলা চুলকানো, অস্বস্তি হওয়া বা ঢোঁক গিলতে গেলে ব্যথা লাগার মতো সমস্যা আর শীতকাল সমানুপাতিক। এইটুকু সমস্যায় বাঙালি কেন, কেউই বোধহয় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার চেষ্টা তো দূর, ভাবনাটাও ভাবেন না। বরং সাময়িক স্বস্তি পেতে জল ফুটিয়ে তাতে নুন দিয়ে গার্গেল করেন। এতে কি আদৌ উপকার হয়? নাকি এই প্রচলিত টোটকা আখেরে কাজের কাজ করার বদলে নিশ্চুপে ক্ষতি করছে?
বিশেষজ্ঞের মতে, নুন গরম জলে ফেলে গার্গেল করলে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যায় এটা ঠিকই। কিন্তু এর খারাপ দিক রয়েছে। শুধু তাই নয়, এটা পুরোপুরি ভাবে গলা খুসখুস, গলা ব্যথা কমাতেও পারে না। কমাতে পারে না সংক্রমণও।
কিন্তু তাও কেন এক চিমটে নুন গরম জলে ফেলে গার্গেল করার অভ্যাস প্রচলিত? নুন গলার কাছে জমে থাকা অতিরিক্ত তরল বা থকথকে পদার্থ বা কফকে টেনে বের করে আনতে সাহায্য করে। এতে ফোলাভাব বা ব্যথা কিছুটা হলেও কমতে পারে, কিন্তু তা সাময়িক ভাবে। তবে হ্যাঁ, এই ক্ষেত্রে একটা জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখা আবশ্যক, যখন গরম জলে নুন ফেলে গার্গেল করবেন তখন সেই জল ভুলেও গিলে ফেলবেন না। সবসময় ফেলে দিতে হবে। নইলেই হিতে বিপরীত হবে।
তবে কেবল গার্গেল করলে গলা খুসখুস, ফোলাভাব, ব্যথা পুরোটা যাবে না। নুন জলে সংক্রমণ কমাতে পারে না। সে ভাইরাল ইনফেকশন হোক বা ব্যাকটেরিয়াল, সেটা থেকেই যায়। সংক্রমণ সারানোর জন্য যথাযথ ওষুধ এবং চিকিৎসার প্রয়োজন। তাই ঘরোয়া টোটকা করুন, কিন্তু সেটাকেই সব নয়। বিশেষ করে যদি জ্বর থাকে।
কেবল গরম জলে নুন ফেলে গার্গেল করলেই গলা ঠিক হয়ে যাবে ভেবে থাকলে, আদতে আপনি সাময়িক স্বস্তি পেতে বিপদ বাড়াচ্ছেন। গোড়া থেকে নির্মূল করছেন না সমস্যাকে। এমনকী অতিরিক্ত গার্গেল করলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। পরবর্তীকালে চিকিৎসা শুরু করলেও তার ফল পেতে সময় লাগবে এর কারণেই। তাই গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে চিকিৎসক দেখানো জরুরি, অবহেলা না করে।
