আজকাল ওয়েবডেস্ক: খাবার আগে বা পরে, এক চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খেয়ে নিতে পারলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে উপকারি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এই অপ্রয়োজনীয় মেদ কমিয়ে ওজনকে বশে রাখে। ফলে কোলেস্টেরল আয়ত্বে থাকে ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমে। ডায়বেটিক রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এই ভিনিগারের অবদান রয়েছে।
যখন তখন খিদে পাওয়া ও উল্টোপাল্টা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করে এই পানীয়। স্বাভাবিকভাবেই ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনকি মেয়েদের পিসিওএসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে ভিনিগার। পিরিয়ডের সময় যন্ত্রনা থেকেও রেহাই দেয়।
মুখগহ্বরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মাত্রা বৃদ্ধি পেলেই মূলত দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করে। এমন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করার প্রয়োজন রয়েছে। আসলে নিয়মিত এক গ্লাস জলে পরিমাণ মতো ভিনিগার মিশিয়ে গার্গেল করা শুরু করলে ক্ষতিকর জীবাণুরা সব মারা পরে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মুখ থেকে খারাপ গন্ধ বেরনোর আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে।
শীতকাল মানেই ত্বকের পাশাপাশি চুলের আর্দ্রতা যায় কমে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হেয়ার ফলের মাত্রা তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে চুলে জট এবং ড্রাই স্ক্যাল্পের মতো সমস্যাও লেজুড় হতে পারে। এমনকি বাড়তে পারে খুশকির প্রকোপও। কিন্তু যদি চাও তাহলে এই সব সমস্যা থেকে কিন্তু দূরে থাকতে পারো। তবে তার জন্য চুলের যত্নে কাজে লাগাতে হবে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারকে, তাহলেই দেখবে কেল্লা ফতে! আসলে এই বিশেষ ধরনের ভিনিগারটি চুল এবং স্ক্যাল্পের আদ্রতা যাতে কমে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে চুলের সৌন্দর্য কমে যাওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি নানাবিধ স্ক্যাল্পের সমস্যাও দূরে থাকতে বাধ্য হয়। এত ঠাণ্ডাতেও চুলকে আদ্র রাখতে এক কাপ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে ২ কাপ জল মিশিয়ে তৈরি করতে হবে একটি মিশ্রণ। তারপর সেই মিশ্রনের সাহায্যে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুল।
