আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ বাবা কাকাদের সময় থেকে দাড়ি কাটার পর দু’গালে ফিটকিরি মাখার চল অনেক পুরনো। তবে শুধু অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানের জন্য নয়, রূপচর্চাতেও সমান গুরুত্বপূর্ণ এই ফিটকিরি। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম ও সালফেট। প্রদাহনাশক এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে এই উপাদান সেরা। ত্বকের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে দারুণ কাজ করে।
তবে দোকানে ফিটকিরি সাধারণত জমাট বাঁধা শক্ত টুকরো অবস্থায় পাওয়া যায়। যা সরাসরি মুখে ঘষবেন না। তবে প্যাক হিসাবে মাখতে গেলে তা গুঁড়ো করে নেওয়াই শ্রেয়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে ও ঝকঝকে আয়নার মতো স্বচ্ছ ত্বক পেতে ফিটকিরি গুঁড়ো দিয়ে তৈরি করুন নাইট ক্রিম।
ফিটকিরিকে গুঁড়ো করে একটি কাচের জারে রেখে দিন। একটি বাটিতে দু'চামচ ফিটকিরি গুঁড়ো নিন। সঙ্গে দিন এক চামচ করে অ্যালোভেরা জেল ও গোলাপ জল। সমস্ত উপকরণগুলো ভাল মতো মিশিয়ে পেস্টের আকারে ক্রিম তৈরি করুন। পরিষ্কার করে মুখ ধুয়ে এই ক্রিম রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আধঘন্টা আগে মুখে মাখুন। পাঁচ মিনিট ভাল মতো ম্যাসাজ করুন। ক্রিম ম্যাসাজ করার সময় মুখে কোন মেকআপ থাকা চলবে না।
মুখের সমস্ত বলিরেখা, ডার্ক সার্কেল দূর করতে অব্যর্থ এই ক্রিম।
নিয়মিত ফিটকিরি ব্যবহার করলে ত্বকের মরা কোষ দূর হয়। ত্বকের উপর জমা মৃত কোষ সরিয়ে হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে। সেবাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমতা রাখতেও সাহায্য করে। ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস-এর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই উপাদান।
অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য মহৌষধি। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিফ্ল্যামেটরি, এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের যত্নে সাহায্য করে। ত্বককে হাইড্রেট করে, ত্বকের কোষগুলির উপরের স্তরের ঘনত্ব বজায় রাখতে পারে। ফলে ত্বক নরম ও মসৃণ হয়। অ্যালোভেরা ত্বকের বয়সের ছাপ, ব্রণের দাগ, ট্যান দূর করে। আবার ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা, মুখের উন্মুক্ত কোষগুলোকে পুনরায় আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা, ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য গোলাপ জল বেশ জনপ্রিয়।
