আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সকালে খালি পেটে বা ব্রেকফাস্টের পাতে দুটি করে আমন্ড খাওয়ার অভ্যাস থাকলে শরীরের সুস্থতা নিয়ে আর আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। আমন্ডে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলস যেমন ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফাইবার। এতে হজম ক্ষমতাকে মজবুত করে, ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়াকে আটকায় ও হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। খাবার থেকে পুষ্টি সঞ্চয় করে খুব সহজেই।
হার্টের বন্ধু হিসেবে আমন্ডের সুনাম রয়েছে। এতে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের বাজে কোলেস্টেরল এলডিএলকে কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচডিএলের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়।এতে আপনার হার্ট থাকে সুস্থ ও সচল।
আমন্ড অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের উৎস। বিশেষ করে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এই বাদাম রোজ দুটো করে ভিজিয়ে খেলে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। সেলুলার স্বাস্থ্যকে উন্নত করে ত্বকে সহজেই বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ওজনকে বাড়তে দেয় না আমন্ড। ফাইবার, প্রোটিন ও ভাল মানের ফ্যাট এতে রয়েছে যা ক্যালোরি ক্ষয় করে ওজনকে বশে রাখে।
ব্রেনের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে এই বাদাম। রাইবোফ্ল্যাবিন ও এল কারটিনাইনের মত স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকায় রোজ ভেজানো আমন্ড খেলে মস্তিষ্কের রক্তচলাচল সঠিকভাবে হয় ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
উচ্চমাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম থাকায় শরীরের কোষগুলিকে কার্যকরভাবে রক্তে গ্লুকোজ শোষণ করতে দেয় না, শর্করাকে হ্রাস করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড সুগার হওয়ার সম্ভাবনা কমে এবং হলেও তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। লো কার্বোহাইড্রেট ও ভাল মানের ফ্যাট আছে বলে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় না। ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় সুর্যের আলো থেকে ত্বককে রক্ষা করে ও বলিরেখা দূর করে ত্বক রাখে প্রানবন্ত।
ডায়টেরি ফাইবার থাকায় পেটের সমস্যা, হজমের গোলমাল থেকে রক্ষা করে এই বাদাম। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকেও দূর করতে পারে। তাছাড়া ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের উপস্থিতির কারণে হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয় ও অস্ট্রিওপোরোসিস থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন ই ও জিঙ্ক ভরপুর মাত্রায় থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
