পুরনো এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এআইআইএমএস, হার্ভার্ড এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজিস্ট ডা. সৌরভ সেঠি গিয়ান-বারে সিন্ড্রোম সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করেছিলেন। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে।
৯ মার্চ প্রকাশিত একটি ভিডিওতে ডা. সেঠি জানান, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিড-১৯ কিংবা ফুড পয়জনিং–এর মতো অসুস্থতার পর গিয়ান–বারে সিন্ড্রোম দেখা দিতে পারে। তিনি তাঁর পোস্টের শিরোনাম দিয়েছিলেন, ‘আধা–সেদ্ধ মুরগি কি আপনার শরীরকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করতে পারে?’
ভিডিওটিতে ডা. সেঠি চারটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্ক সংকেতের কথা জানান, যেগুলোর প্রতি সচেতন থাকা জরুরি। পায়ে ক্রমাগত পেশিশক্তি হ্রাস, কথা বলা এবং গিলতে অসুবিধা, মূত্রাশয় এবং অন্ত্রের সমস্যা, শরীরের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ব্যথা। তিনি পরামর্শ দেন, এর মধ্যে যে কোনও লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে এবং এ বিষয়ে সচেতনতা অন্যদের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে।
তিনি বলেন, “পায়ে হালকা ঝিনঝিন থেকে শুরু হয়ে এটি পক্ষাঘাত ডেকে আনতে পারে। সতর্ক সঙ্কেতগুলো চিনে নিন। গিয়ান–বারে সিন্ড্রোম সম্পর্কে জানুন। এটি এমন এক রোগ, যেখানে আপনার রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুল করে স্নায়ুকে আক্রমণ করে। এটি ফ্লু, কোভিড–১৯ বা ফুড পয়জনিং–এর পরও ঘটতে পারে।”
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" data-instgrm-version="14">
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">
View this post on Instagram
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by Saurabh Sethi MD MPH | Gastroenterologist (@doctor.sethi)
পেশিশক্তি হ্রাস: পায়ে শুরু হয়ে ধীরে ধীরে ওপরে ছড়ায়, পক্ষাঘাত ডেকে আনতে পারে।
গিলতে ও কথা বলতে অসুবিধা।
মূত্রাশয় ও অন্ত্রের সমস্যা: প্রস্রাব বা মলত্যাগে অসুবিধা।
শরীরে তীব্র ব্যথা।
পিঠ, উরু বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোতে জ্বালা বা ছুরি বিঁধে যাওয়ার মতোঅনুভূতি হতে পারে।
চিকিৎসক বলেন, বলেন, “এই লক্ষণগুলোর যে কোনও একটি দেখলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। আর সচেতনতা বাড়াতে এটি অবশ্যই সবার সঙ্গে ভাগ করে নিন।”
গিয়ান–বারে সিন্ড্রোম এমন একটি অসুখ, যা প্রথমে সামান্য ঝিনঝিনে ভাব, দুর্বলতা কিংবা গিলতে সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও দ্রুতই জীবন-ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রূপ নিতে পারে। অনেক সময় রোগী বুঝতেও পারেন না যে সমস্যাটি কতটা গুরুতর, আর সেই সুযোগেই রোগটি শরীরের স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে বসে। ফলাফল হতে পারে হাঁটার অক্ষমতা থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ পক্ষাঘাত পর্যন্ত।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা। কারণ সময়মতো সঠিক চিকিৎসা শুরু করলে জটিলতা অনেকাংশেই কমানো যায়। তাই নিজের শরীরের পরিবর্তনকে গুরুত্ব দিন, অন্যদেরও জানিয়ে দিন, আর মনে রাখুন—সচেতন সিদ্ধান্তই হতে পারে পক্ষাঘাত থেকে মুক্ত জীবনের রক্ষাকবচ।