আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সম্পর্ক এক মাস থাকুক বা এক বছর—মনের মানুষকে মন থেকে মুছে ফেলা সহজ নয়। তাই তো বিচ্ছেদের যন্ত্রণা থেকে সহজে অনেকেই বেরিয়ে আসতে পারেন না। এক বার সম্পর্ক ভাঙার পর দ্বিতীয় বার সম্পর্কে জড়াতে দ্বন্দ্বে ভুগতে থাকেন। এক দিকে কষ্ট দেয় একাকিত্ব, তেমনই নতুন করে কাউকে বিশ্বাস করার আগে ভয়, অনিশ্চয়তা মনকে গ্রাস করে।
আপনারও কি সদ্য সম্পর্ক ভেঙেছে? চেনা ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না? কিন্তু আপনাকেই যে মনের ডামাডোল মেটাতে হবে, শান্ত হয়ে সামলাতে হবে নিজেকে। বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ভুলতে অনেকেই বিভিন্ন রকম কাজে মন দেন। তবে কোন কোন কাজে মনের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যেতে পারেন জানেন? জেনে নিন সেই বিষয়ে।
১. বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ভুলতে অনেকেই কড়া ডায়েট, শরীরচর্চা শুরু করেন। আচমকাই এই রুটিনে মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। কঠোর ডায়েট করতে গিয়ে দেহে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে ডায়েট করতে পারেন। সঙ্গে শরীচর্চার ক্ষেত্রেও ট্রেনারের পরামর্শ নিন।
২. অনেকেই বিচ্ছেদের দু: খ ভুলতে এক এক দিন এক এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিপরীতের মানুষটির ভাল-মন্দ কিছু না জেনে শুধুমাত্র পুরনো সম্পর্ক ভোলার উপায় খুঁজতে চান। কেউ কেউ আবার বিচ্ছেদের পর বিভিন্ন ডেটিং সাইটে আলাপ করে ঘনিষ্ঠও হন। এতে লাভের বদলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।
৩. প্রাক্তনকে ভুলতে কেউ কেউ অতিরিক্ত ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেউ আবার সারাক্ষণই ঘুরে বেড়ান। কিন্তু আদপে কোনওটাই ভাল নয়। বরং স্বাভাবিক জীবন বাঁচার চেষ্টা করুন। যার জন্য বই পড়া, গান শোনা, মেডিটেশনের জন্য অভ্যাস রপ্ত করুন।
৪. ব্রেকআপের পর অনেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। অর্থাৎ পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলেন না। বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেন। বাইরে বেরোতে কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চান না। এতে একাকিত্ব আরও বেড়ে যায়। বরং পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটালে দ্রুত যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
৫. সম্পর্ক ভাঙা মানেই জীবন শেষ নয়। তাই কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে আকস্মিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। একটি মানুষকে ঘিরে আপনার জগৎ ছিল ঠিকই, কিন্তু সেটাই শেষ কথা হতে পারে না। কারণ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে নতুন একটি সুন্দর জীবন। যদি কোনও মতেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে না পারেন তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
