আজকাল ওয়েবডেস্ক: কর্মক্ষেত্র একটা এমন জায়গা যেখানে আপনি দিনের অধিকাংশ সময় কাটান। সেখানে কোনও কিছু খারাপ হলে সেটা আপনাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে তুলবে, সেটাই স্বাভাবিক। হতে পারে আপনার কাজে কোনও ভুল হয়েছে, বা কোনও মিসকমিউনিকেশন তৈরি হয়েছে । সেটা নিয়ে আপনার সিনিয়র নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ভাগ করেছেন। আর সেই নিয়ে অন্যান্য সহকর্মীরা শুরু করেছেন সমালোচনা। এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় প্রায় সকলকেই।  
থেরাপিস্টের মতে, সমালোচনা মানেই যে খারাপ তা কিন্তু নয়। হতেও পারে তা অনুপ্রেরণামূলক। এটা নির্ভর করে আপনি সমালোচনা কীভাবে নিচ্ছেন তার উপর। মতামতকে গঠনমূলক সমালোচনায় রূপান্তরিত করুন। এতে আপনি আপনার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন। আরও ভালভাবে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু এইসব নেতিবাচক সমালোচনার সঙ্গে মোকাবিলা করবেন কীভাবে?
খোলা মনের মানুষ হতে হবে। যে কোনও ধরনের প্রতিক্রিয়া খোলা মনেই গ্রহণ করতে হবে। আপনি ভাবছেন যে কাজের জন্য আপনি হয়তো নিজের ১০০ শতাংশ দিচ্ছেন। কিন্তু আপনি যা বুঝতে পারছেন না তা হল অন্য কেউ অন্য কোনও দৃষ্টিকোণ থেকে সেটি পর্যবেক্ষণ করছেন। ফলে তার প্রতিক্রিয়াও কিন্তু সেই দৃষ্টিকোণের উপর নির্ভরশীল।আপনি যদি মনকে সীমাবদ্ধ রাখেন, তাহলে আপনি সমালোচনাকে ব্যক্তিগতভাবে দেখতে পারেন। যা মোটেও কাম্য নয়। 
কনফারেন্স রুমে সিনিয়র যদি আপনার কাজ নিয়ে প্রশ্ন করেন তাহলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁকে জানান, আপনার কোথায় অসুবিধা হচ্ছে। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ রিল্যাক্স রাখুন। স্ট্রেস নেবেন না। মনে রাখবেন, আপনার কাছে নিজেকে ইমপ্রুভ করার সুযোগ রয়েছে সব সময়ই। সিনিয়রকে প্রশ্ন করুন তিনি কী ধরনের পরিবর্তন আশা করছেন। সেক্ষেত্রে নিজের মতামত জানান তাঁকে। সহমত হয়ে আবার ফিরুন কাজে। 
ফলো-আপ মিটিং করতে ভুলবেন না। এতে কর্তৃপক্ষ ভাববে যে আপনি নিজের কাজের প্রতি সিরিয়াস। যদি তাঁর ফিডব্যাক নিয়ে আপনার কোনও অসুবিধা থাকে মন খুলে কথা বলুন, রেগে না গিয়ে। 
সহকর্মীদের কথা নিয়ে বেশি মাথা ঘামাবেন না। কোনও কিছু অতিরিক্ত মনে হলে সেটা নিয়েও খোলাখুলি সিনিয়রের সঙ্গে আলোচনা করুন।