আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় বলে নিয়তিকে কেউ খণ্ডন করতে পারে না। মৃত্যু যদি আসারই হয় তবে সে আসবেই। কিন্তু তাই বলে এইভাবে? এভাবেও কি কারোর মৃত্যু হওয়া সম্ভব। পর্তুগালের এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে উঠছে তেমনই প্রশ্ন। অদ্ভুত ভাবে প্রাণ হারালেন এক প্রৌঢ়। এভাবেও যে কারও মৃত্যু হওয়া সম্ভব বিশ্বাস করতে পারছে না অনেকেই।
সম্প্রতি স্থূলকার স্ত্রীর নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল পর্তুগালে ৫৯ বছরের এক বৃদ্ধের। পোর্তো শহরের প্রান্তে অবস্থিত কামপান্হা অঞ্চলে একসঙ্গে বসবাস করতেন ওই দম্পতি। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতের স্ত্রী খাটের উপর শুতেন। আর স্বামী শুতেন মেঝেতে। ঘটনার দিন রাতে খাট থেকে নামার সময় ১০০ কেজির বেশি ওজনের বিশালবপু স্ত্রী হোঁচট খেয়ে ওই শীর্ণকায় প্রৌঢ়ের উপর পড়ে যান। নিজের ওজনের জন্য আর উঠে দাঁড়াতে পারেননি মহিলা। শেষ পর্যন্ত তাঁর ওজনের চাপেই দম বন্ধ হয়ে যায় প্রৌঢ়ের। মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?
আসলে খাট এবং দেওয়ালের মাঝে অল্প জায়গা থাকায়, মহিলা কিছুতেই আর নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াতে পারেননি। পড়ে যাওয়ার পর তিনি চিৎকার করতে শুরু করেন। তাঁর আর্তনাদের শব্দেই ছুটে আসেন পড়শিরা। তাঁরই এসে উদ্ধার করেন মহিলাকে।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, মহিলাকে যতক্ষণে তাঁর স্বামীর উপর থেকে তোলা হয়, ততক্ষণে তিনি অচেতন। স্থানীয়রা ডাকাডাকি করলেও সাড়া দেননি প্রৌঢ়। দ্রুত খবর দেওয়া হয় দমকল এবং অ্যাম্বুলেন্সে। চিকিৎসাকর্মীরা যখন এসে পৌঁছান ততক্ষণে প্রাণবায়ু নিঃশেষিত হয়ে গিয়েছ প্রৌঢ়ের। কৃত্রিমভাবে হৃদস্পন্দন চালু করার চেষ্টা হলেও চিকিৎসায় সাড়া দেননি তিনি। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের অনুমান স্ত্রীর অতিরিক্ত ওজনের কারণে বিকল হয়ে গিয়েছিল ওই ব্যক্তির হৃদযন্ত্র। এবং তারপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?
গোপনীয়তার স্বার্থে মহিলার ওজন নির্দিষ্ট ভাবে বলা না হলেও তিনি যে ১০০ কেজির বেশি, সে কথা জানানো হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে। পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে মহিলাকে তুলতে মোট পাঁচ জন লেগেছিল সেদিন। মহিলার বয়স ৬০। তাঁর পক্ষে কোনও ভাবেই উঠে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল না ওই পরিস্থিতিতে। ইতিমধ্যেই পুলিশ জানিয়েছে ঘটনা পুরোটাই কাকতালীয়। খুন নয়, গোটাটাই দুর্ঘটনা। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টিকে দুর্ঘটনাজনিত অ্যাসফিক্সিয়া বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। অদ্ভুত হলেও এর নেপথ্যে কোনও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র নেই। স্বামীর মৃত্যুতে ভেঙ্গে পড়েছেন মহিলাও। নিজেকেই দায়ী করছেন তিনি। এই অবস্থায় তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক করার জন্য মনোবিদের কাছে পাঠানো যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে প্রশাসন।
