আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটিতে বিশেষ মাসিক বক্তৃতামালার আয়োজন। 'ডিকলোনাইজেশন অফ নলেজ অ্যান্ড ডিকলোনিয়াল পেডাগগি: লুকিং ব্যাক অ্যান্ড মুভিং ফরোয়ার্ড' শীর্ষক এই আলোচনায় প্রতি মাসে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক, অধ্যাপকরা থাকছেন এই বিষয়ে বক্তৃতা দিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারডিসিপ্লিনারি স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগ গত এপ্রিল মাস থেকে এটি বিশেষভাবে আয়োজন করছে। এবারে বক্তব্য রাখবেন অধ্যাপক উইলিয়াম জে. এমপোফু। এই সিরিজের দ্বাদশ আলোচনা আগামীকাল৷
অধ্যাপক উইলিয়াম এবারে বক্তব্য রাখবেন 'আনডিসিপ্লিন্যারিটি: টুওয়ার্ডস ইম্যাজিং এ ডিকলোনাইজড ইউনিভার্সিটি অফ গ্লোবাল সাউথ' - এর উপরে৷ সভায় উপস্থিত থাকবেন অধ্যাপিকা বুলা ভদ্র।
প্রফেসর উইলিয়াম জে. এমপোফু দক্ষিণ আফ্রিকার শিক্ষা জগতের পরিচিত মুখ। সহজ কথায় বলতে গেলে, তিনি এমন একজন গবেষক এবং লেখক যিনি মূলত জটিল বিষয়গুলিকে সহজ করে বুঝতে সাহায্য করেন।
এমপোফু এই মুহূর্তে জোহানেসবার্গের ইউনিভার্সিটি অফ দ্য উইটওয়াটার্সর্যান্ড-এর মতো নামী প্রতিষ্ঠানে গবেষণা করছেন। তাঁর গবেষণার মূল কেন্দ্রবিন্দুটি বেশ জরুরি, তা হল ঔপনিবেশিকতা-উত্তর চিন্তাধারা। অর্থাৎ ডিকলোনিয়ালিটি। তিনি দেখেন, কীভাবে ঔপনিবেশিক প্রভাব থেকে বেরিয়ে এসে সমাজ, রাজনীতি ও সংস্কৃতি নতুন পথে এগোতে পারে।
এছাড়াও, তিনি 'বৈচিত্র্য অধ্যয়ন' এবং আফ্রিকার রাজনীতি নিয়েও নিয়মিত কাজ করেন। তাঁর গবেষণার ফসল শুধু বই বা জার্নালেই সীমাবদ্ধ নয়, তিনি গুড গভর্নেন্স আফ্রিকার মতো সংস্থাতেও পরামর্শদাতা হিসেবে যুক্ত। এক কথায়, প্রফেসর এমপোফু হলেন সেই বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে একজন, যিনি ঔপনিবেশিকতার বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয়ে নতুন এক আফ্রিকান ও বিশ্ব চিন্তাধারার জন্ম দিতে প্রতিনিয়ত কলম ধরছেন।
এই বিষয়টি নিয়ে ভারতে চর্চিত সমাজবিজ্ঞানের পরিধিতে এর আগে তেমন করে আলোচনা হয়নি। সে দিক থেকে দেখতে গেলে বিষয় হিসাবে এটি অভিনব। ভারত যেমন উপনিবেশ ও ঔপনিবেশিক মানসিকতার ঐতিহাসিক উদাহরণ হওয়া সত্ত্বেও, দীর্ঘদিন গবেষণার এই অধ্যায়ে তেমন কেউ আলো ফেলেনি। ভারতে সমাজবিজ্ঞানের চর্চাতেও এই দিকটি অনালোকিত থেকেছে। এই বক্তৃতা সেই উপেক্ষিত বিষয়ে আলো ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
চলতি বছরের মে মাসে এই বক্তৃতামালায় বক্তব্য রেখেছেন প্রফেসর এমিরেটাস ওয়াল্টার মিগনলো। গবেষণার এই ক্ষেত্রে তিনি এক প্রথিতযশা নাম। তাঁর বক্তব্যের বিষয় ছিল, 'হোয়াট ডাস ইট মিন টু ডিকনোলাইজ'। হাইব্রিড মোডে আয়োজিত এই বক্তৃতায় অংশ নিয়েছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ৭৫ জন অধ্যাপক, গবেষকরা।
উত্তর-ঔপনিবেশকতাবাদ,সমাজবিজ্ঞানে ইউরোপ কেন্দ্রিকতা বিষয়ে বিখ্যাত চিন্তক ও গবেষক সৈয়দ ফরিদ আহলাতাস ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার রাজনীতি ও সমাজনীতি, বুদ্ধিচর্চায় ঔপনিবেশিকতার প্রভাব ও সমাজবিজ্ঞানের অন্যধারার তত্ত্ব নিয়ে তাঁর কাজ উল্লেখযোগ্য। চলতি বছরের জুন মাসে তাঁর বক্তব্য রাখার কথা ছিল৷ ২০ জুন তিনি বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্যের বিষয় ছিল, 'ক্রিটিক অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ইন নলেজ ক্রিয়েশন: টেকিং ডিকলোনাইজেশন সিরিয়াসলি'।
