আজকাল ওয়েবডেস্ক: হোটেল বা রিসর্ট। প্রাপ্তবয়স্ক দু'জন নারী-পুরুষ ঘরের খোঁজে গেলেই রিসেপশনে বসে থাকা সামনের লোকটি জানতে চান, ঘর আছে কিন্তু আপনাদের মধ্যে সম্পর্কটা কী? যদি বলা হয় বন্ধু তবে মুহূর্তে পাল্টে যায় সামনের লোকটির মুখের চেহারা। গম্ভীর মুখে ঘর চাইতে আসা দুই নারী-পুরুষকে বলে দেওয়া হয়, হবে না। কেন হবে না তা জানতে চাইলে পাল্টা উত্তর আসে 'আমরা স্বামী-স্ত্রী ছাড়া ঘর দিতে পারব না।' 

 

 

এতো গেল একটা পর্ব। যদি স্বামী-স্ত্রী'ও ঘর নিতে আসে তাহলেও তাঁদের পড়তে হয় একাধিক প্রশ্নবানের সামনে। রিসেপশনের লোকটি কথা বলতে বলতে ঘন ঘন চাহনি দিতে থাকেন দু'জনের মুখের দিকে। বুঝে ওঠার চেষ্টা, সত্যি বলছে না মিথ্যা বলছে। আবার কেউ বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট-এর জেরক্স কপিও চায়। 

 

 

কিন্তু আদৌ কি আইনত কোনও প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষকে হোটেল বা রিসর্ট কর্তৃপক্ষ এভাবে ঘর না দিয়ে বা বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেখতে চাইতে পারে? রাজ্য সরকারের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় এ বিষয়ে বলেন, 'একেবারেই পারে না। কারণ দু'জন প্রাপ্ত বয়স্ক নারীপুরুষ সহমতের ভিত্তিতে কোথায় একসঙ্গে থাকবেন বা আলাদা থাকবেন সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের বিষয়।' 

 

 

তাঁর কথায়, যদি না পাচার বা অন্য কোনও অপরাধের উদ্দেশ্যে কেউ যায় এবং সেটা যদি হোটেল বা রিসর্ট কর্তৃপক্ষ আঁচ করতে পারেন তবে তিনি অবশ্যই বাধা দিতে পারেন। এমনকী সহমতের ভিত্তিতে দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ যদি যৌন‌ সম্পর্কও গড়ে তোলেন সেক্ষেত্রে কারওর কিছু বলার থাকে না। 

 

 

কী কী ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে? বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'যদি দেখা যায় হোটেল বা রিসর্টটি ভাড়া নিয়ে দিনের পর দিন শুধু যৌনক্রিয়া করতেই কেউ যাচ্ছে তবে মালিক বলতেই পারেন তিনি ঘর ভাড়া দেবেন না। এক্ষেত্রে নির্ভর করছে ঠিক কোন পরিস্থিতিতে তিনি ঘর ভাড়া দিতে অস্বীকার করছেন। যদি বিষয়টি ভারতীয় আইন অনুযায়ী অশালীনতার মধ্যে পড়ে তবে তিনি ঘর ভাড়া দিতে অস্বীকার করতেই পারেন। তবে এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই প্রাপ্তবয়স্ক দু'জন নারী-পুরুষকে সাধারণভাবে কেউ ঘর ভাড়া দিতে কেউ অস্বীকার করতে পারেন না।'