আজকাল ওয়েবডেস্ক: নয়ডা, গুরগাঁও, বেঙ্গালুরু, এমনকি কলকাতাতেও প্রায়শই ট্র্যাফিক জ্যামের অভিযোগ আনেন সাধারণ মানুষ। অফিস টাইমে দাঁড়িয়ে পড়ে সারি সারি গাড়ি। অনেকেই যানজট এড়ানোর আশায় ভোরবেলা বেরিয়ে পড়েন। এই সমস্ত যানজটও ম্লান হয়ে যায় যখন প্রসঙ্গ ওঠে ২০১০ সালে বেজিং-তিব্বত এক্সপ্রেসওয়েতে ঘটে যাওয়া এক নজিরবিহীন ট্রাফিক জ্যামের। চিনের এই ঐতিহাসিক যানজট শুরু হয়েছিল ২০১০ সালের ১৪ আগস্ট। চলেছিল টানা ১২ দিন। ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা এই যানজট হাজার হাজার মানুষের জন্য হয়ে উঠেছিল এক অভিশপ্ত দুঃস্বপ্ন। কয়েক ঘণ্টা নয়, টানা ১২ দিন নিজেদের গাড়িতেই আটকে থাকতে হয়েছিল তাঁদের।

 

বেজিং-তিব্বত এক্সপ্রেসওয়েতে রাস্তার মেরামত কাজ চলাকালীন এই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। মঙ্গোলিয়া থেকে কয়লা এবং নির্মাণসামগ্রী বহনকারী ভারী ট্রাকগুলো পরপর রাস্তায় ভিড় করতে থাকে। এর মধ্যে কয়েকটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। মেরামতের জন্য আংশিক বন্ধ থাকা এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকগুলোর কারণে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। গোটা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে চরম অব্যবস্থার এক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছিল সেদিন গোটা বিশ্বে। অবশেষে, বারো দিন পর ২৬ আগস্ট এই দুঃস্বপ্নময় যানজট মুক্ত হয়। কীভাবে সামান্য একটি ট্রাফিক জ্যাম শুধুমাত্র মানুষ নয়, গোটা পরিকাঠামোকেও বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে তা সেদিন দেখেছিল বিশ্ব।