আজকাল ওয়েবডেস্ক: আলো নেভানো ঘর, জানালায় ভারী পর্দা, অথচ টিভি চলছিল—চুপিচুপি। তাতে চলছিল একটি পর্ন ছবি। সেই একই দৃশ্য, টানা তিন বছর ধরে। গরম হিটার চলছিল নিঃশব্দে, আর বিছানার পাশে একটা দেহ—না, বলা ভুল, কেবল একটি কঙ্কাল, যার হাড়ের হাত যেন চেপে ধরা এক পুরুষাঙ্গের মতো কিছু।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠেছে গোটা লন্ডন। পুলিশ জানিয়েছে, তিন বছর আগে মারা গিয়েছিলেন জয়েস ক্যারল ভিনসেন্ট নামের এক যুবতী। তার মৃত্যুর কোনও গন্ধ, শব্দ বা নড়াচড়া কেউ টেরই পাননি, কারণ শহরের ব্যস্ততা এই নিঃসঙ্গতাকে গিলে ফেলেছিল। কিন্তু যেটা সবাইকে চমকে দিয়েছে, তা হল মৃত্যুর পরে রয়ে যাওয়া যৌন আবহ। টিভির পর্দায় নীল দৃশ্যের ক্লান্তিহীন পুনরাবৃত্তি, বিছানার একপাশে কয়েকটি মোড়ানো সেক্স টয়, এবং কঙ্কালের ভঙ্গি—সব মিলিয়ে যেন এক অদ্ভুত ‘জীবিত কামনার মৃত্যু’।
স্থানীয় কাউন্সিল যখন ফ্ল্যাটে ঢোকে, তারা ভেবেছিল এটা হয়তো কোনো পরিত্যক্ত ঘর। কিন্তু জানালা দিয়ে বের হওয়া নীল আলো ও ফিসফিসে শব্দ তাঁদের থমকে দেয়। দেহ উদ্ধার করার সময় পুলিশ কর্মীরা বলেন, “এটা যেন বাস্তব না, কোনও বিকৃত কামনায় আটকে থাকা সময়ের কবর।” মানসিক স্বাস্থ্য ও একাকীত্ব নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তির সঙ্গে যৌনতার নিরব সংলাপ আজকের শহুরে সমাজে কতটা নিঃস্ব করে দিচ্ছে মানুষকে, এই ঘটনা তার জ্যান্ত প্রমাণ।
এক কঙ্কাল, এক টিভি, আর এক অনন্ত যৌন দৃশ্য—এই তিনে তৈরি হয়েছে লন্ডনের বুকে এক ‘অশরীরী কামনার কাহিনি’।
