আজকাল ওয়েবডেস্ক: দ্রুত ওজন কমাতে গিয়ে বিপত্তি। ঘটনাটি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ল চিন। ২৮ বছরের এক মহিলার ওজন বেশি ছিল। এরপর তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি বিজ্ঞাপন দেখেন। সেখান থেকে তিনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তাদের কথামতো তাদেরকে ১৩০ মার্কিন ডলারও দেন। তবে সে ভাবতে পারেনি কী অপেক্ষা করে রয়েছে তার জন্য।
ওজন কমানোর ইনজেকশান নেওয়ার খানিক পর থেকেই তার রক্ত বমি হওয়া শুরু হয়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। যে সংস্থা তার সাড়ে তিন কেজি ওজন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা তখন সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারলে বাঁচে। তবে ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা সংস্থার কর্মীদের ধরে ফেলে তাদের গণপ্রহার দেয়।
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল তারা একধাক্কায় সাড়ে তিন থেকে পাঁচ কেজি ওজন কমাতে পারবে। তবে এই মহিলার সঙ্গে যে ঘটনা হল তাতে সকলে চিন্তায় পড়েছে। মহিলার রক্ত বমির পর তার শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। তার পাকস্থলী বিরাটভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসকরা কোনওমতে তার প্রাণরক্ষা করেন। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত সংস্থার কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মহিলা জানান ইনজেনশন নেওয়ার পর তিনি ভালোই ছিবেন। তবে ধীরে ধীরে তার পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। নিজের ওজন কমাতে গিয়ে তাকে যে এই পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে তা ভেবেই সে আতঙ্কিত। চিকিৎসরা জানিয়েছেন একসময় তার পালস রেট অনেকটা কমে গিয়েছিল। যে ইনজেকশন তাকে দেওয়া হয়েছিল তার আগে দেহের এলার্জি পরীক্ষা করা উচিত ছিল। সেটি না করেই অভিযুক্ত সংস্থা এই কাজ করেছে। পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি না হলে মহিলা মারা যেতেও পারতেন।
সামাজিক মাধ্যমে বর্তমানে এমন অনেক চিকিৎসা করানোর বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় যেখান থেকে প্রলোভনে পড়েন সকলেই। তবে সেখানে পা না দিয়ে এবিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ করাই সঠিক বলেই চিকিৎসক মহলের মত।
এই মহিলার সঙ্গে যে ঘটনা হল তা দেখে বাকিরা শিক্ষা নিয়েছে। তাদের দাবি অবিলম্বে এই ধরণের সংস্থাকে চিহ্নিত করে তাদেরকে ব্যান করা হোক। যেভাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের দেহে অতিরিক্ত মেদ বাড়ছে তাতে সুযোগ নিতে চাইছে এই ধরণের সংস্থাগুলি। তারা মোটা টাকার বিনিময়ে ওজন কমানোর ফাঁদ ফেলেছে। তবে এই বিষয়টি যে কতটা মারাত্বক হতে পারে সেকথা এই খবরেই স্পষ্ট।
এই ঘটনা চিনে রীতিমতো হইচই ফেলেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন সমস্ত সংস্থার ওপর নজরদারিতে জোর দিয়েছে। সেখানে তাদের টাকার পরিমান কত সেটাই বেশি করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ওজন কমাতে গিয়ে যে ক্ষতি হচ্ছে তাকে রোধ করার দিকেই এবার নজর গিয়েছে চিন প্রশাসনের।
