আজকাল ওয়েবডেস্ক: জেলেনস্কি, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের তিন বছরে, আচমকা বললেন, প্রয়োজনে তিনি সরে দাঁড়াতে পারেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির পদ থেকে। কিন্তু তার জন্য দিয়েছেন এক বড় শর্ত। জেলেনস্কি রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, তিনি রাষ্ট্রপতি না থাকলে যদি ইউক্রেনে শান্তি বজায় থাকে, তাতে তিনি সরে দাঁড়াতে আপত্তি করবেন না, নেবেন না সময়ও। 

শর্ত কী? শর্ত, তাঁর ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিনিময়ে, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদ দিতে হবে। অর্থাৎ ন্যাটোর সদস্যপদের বিনিময়ে নিজের পদ থেকে সরে যেতে প্রস্তুত তিনি। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে বোঝাপড়ায় যেতে চান বলেও জানান। একই সঙ্গে জানান, দুই দেশের মধ্যে এক সমঝোতার আলোচনা চলছে। তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করতে পারবে। 

এর আগে বাইডেন জমানায় ইউক্রেনকে যুদ্ধ সহায়তা করেছে মার্কিন মুলুক। মার্কিন অস্ত্রে বলীয়ান হয়েই রণক্ষেত্রে রুশ ফৌজকে পালটা মেরেছে জেলেনস্কির বাহিনী। 

কিন্তু এখন ট্রাম যেন কিছুটা বেঁকে বসেছেন। কী বলছেন তিনি? এমনিতেই  ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরতেই ইউক্রেনের অনুদানে কাটছাঁট করেছেন। জেলেনস্কিকেও কড়া ভাষায় একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছেন। বুধবার রাতে সৌদি আরবের উদ্যোগে মায়ামিতে অনুষ্ঠিত 'এফআইআই প্রায়োরিটি' সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সাংবাদিক সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তুলোধোনা করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় রয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি তো একনায়ক। তাঁর উচিত এখনই ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া। নাহলে দেশের আর কিছু থাকবে না।‘