আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে আমেরিকার ট্যাঙ্ক প্রতিরোধী জ্যাভলিন মিসাইল। সঙ্গে অত্যাধুনিক কামানও।
আমেরিকার ডিফেন্স সিকিওরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) আনুষ্ঠানিক ভাবে এই অস্ত্র বিক্রির কথা জানিয়েছে মার্কিন আইনসভা বা কংগ্রেসকে। জানা গেছে, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮২৫ কোটি টাকার অস্ত্র বিক্রি করতে চলেছে আমেরিকা।
ডিএসসিএ–র তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ভারতের অনুরোধে এই অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেন্টাগন (আমেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তরের ভবন)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিক্রির বিষয়টি আপাতত প্রস্তাবের আকারে রয়েছে। অস্ত্রগুলি ভারতের হাতে পৌঁছলে তারা বর্তমান এবং ভবিষ্যতের বিপদের সঙ্গে লড়াই করে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করতে পারবে।’
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, সেনাবাহিনী ১২টি লঞ্চার এবং ১০৪টি মিসাইল (ক্ষেপণাস্ত্র) কিনতে চলেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রেরই পোশাকি নাম ‘এফজিএম–১৪৮ অ্যান্টি ট্যাঙ্ক জ্যাভলিন মিসাইল’। গত সাড়ে তিন বছরে ইউক্রেন যুদ্ধে বার বার নিজের জাত চিনিয়েছে আমেরিকার এই জ্যাভলিন। ডিএসসিএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ভারতের সঙ্গে ৪৫.৭ মিলিয়ান ডলারের চুক্তি হচ্ছে। এই প্যাকেজে থাকছে জ্যাভলিন এফজিএম–১৪৮ ক্ষেপণাস্ত্র, ২৫টি জ্যাভলিন লাইটওয়েট কমান্ড লঞ্চ ইউনিট (এলডাব্লুসিএলইউ) অথবা জ্যাভলিন ব্লক ১ কমান্ড লঞ্চ ইউনিট (সিএলইউ)। এরপর ধাপে ধাপে ভারতীয় সেনার হাতে আসবে মোট ১২টি লঞ্চার এবং ১০৪টি মিসাইল।
জানা গেছে, একজন সেনাই এটিকে ব্যবহার করতে পারেন। ক্ষেপণাস্ত্রটির একটি লঞ্চার রয়েছে, যেটি কাঁধে রেখে নিখুঁত লক্ষ্যে ছোড়া যায়। একটি ‘জ্যাভলিন’–এর ওজন আনুমানিক ২৩ কেজি। বহন করতে পারে সাড়ে আট কেজি বিস্ফোরক। এর লঞ্চার সাধারণত ৬.৪ কেজির হয়ে থাকে। ২,৫০০ মিটার পাল্লার এই মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ধীর গতিতে ওড়া হেলিকপ্টার ধ্বংস করতেও পটু।
