আজকাল ওয়েবডেস্ক: আফ্রিকায় তাঁকে প্রায়শই কেনিয়ার ‘বহুবিবাহের রাজা’ আকুকু ডেঞ্জারের সঙ্গে তুলনা করা হয়। ওই ব্যক্তির ছয় স্ত্রী এবং সকলেই এক সঙ্গে গর্ভবতী। অন্যদেশে, সকলে এমন পারেন না। তাঁদের আইভিএফ বা অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হয়। কিন্তু এই পরিবার একটি নজির সৃষ্টি করেছে। তাঁদের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে ছ’জন মহিলাই দৃশ্যত গর্ভবতী। দেখে মনে হচ্ছে প্রত্যকেই ৫-৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ভিডিওটি সকলের মনে কৌতূহল এবং বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। দর্শকদের মনে প্রশ্ন, কীভাবে এক ব্যক্তি তাঁর ছয় স্ত্রীকে এক সঙ্গে গর্ভবতী করতে পারলেন? কীভাবে করলেন এই অসাধ্যসাধন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, গর্ভাবস্থার পার্থক্য মাত্র কয়েক সপ্তাহের। ওই ব্যক্তির প্রথম স্ত্রী সাত মাসের, দ্বিতীয় স্ত্রী সাড়ে ছয় মাস, তৃতীয় ছয় মাস, চতুর্থ সাড়ে পাঁচ মাস, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্ত্রী পাঁচ মাসের গর্ভবতী।

জানা গিয়েছে, জঙ্গলের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত পারিবারিক জীবন অত্যন্ত কঠিন। প্রতিদিন সকালে, ছয় জন স্ত্রীই বিভিন্ন ধরণের প্রাতঃকালীন অসুস্থতা এবং অদ্ভুত আকাঙ্ক্ষা অনুভব করেন। যা তাঁদের স্বামীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁর কাঁধেই সংসার পরিচালনা এবং তাঁদের সুস্থতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব।

প্রতিবেশীরা বাড়ির পরিবেশকে একটি ব্যক্তিগত প্রসূতি ওয়ার্ডের মতো বলে বর্ণনা করেছেন। যেখানে পরিবারটি আগামী মাসগুলিতে ছ’টি নবজাতককে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। এই পরিবারের গল্পটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুবিবাহ, পারিবারিক গতিশীলতা এবং এই ধরনের পরিবারগুলিতে প্রাকৃতিক উর্বরতা নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

কেনিয়ার কিংবদন্তি ছিলেন অ্যানসেন্টাস আকুকু। তিনি ১৯৩৯ সালে তার প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করেন। আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর আগে ২২ বছর বয়সে বহুবিবাহবাদী হয়ে ওঠেন। তাঁর ছদ্মনাম দেওয়া হয় ‘ডেঞ্জার’। তাঁর সুদর্শন চেহারার জন্য সেই সময় পাগল ছিলেন মেয়েরা। ৯০ বছর বয়সে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তাঁর।

ভারতেও এরকম উদাহরণ বহু আছে। কিন্তু সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন মিজোরামের এক ব্যক্তি। তাঁর পরিবার ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড়। জিওনা চানা ২০২১ সালে ৭৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন। তিনি তাঁর পরিবারের প্রধান ছিলেন। তাঁর পরিবারে ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ জন সন্তান এবং ৩৩ জন নাতি-নাতনি ছিল।