আজকাল ওয়েবডেস্ক: বছরের পর বছর স্কুলে যায়নি সে। অথচ ভর্তুকির টাকা ঢুকে যায় ব্যাঙ্কে। সন্দেহ হয়েছিল স্কুলের প্রিন্সিপালের। শিশু সুরক্ষা দপ্তরে জানান তিনিই। খোঁজ পেয়েই সেই নাবালকের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। ঘরে ঢুকেই যা দেখে, শিউরে ওঠেন সকলে। আট বছরের নাবালক কথাই বলে না। প্রশ্ন করলে শুধুমাত্র ঘেউঘেউ করে। 

 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িতে নাবালকের মা ও দাদা ছিল। দু'জনেই মাদকাসক্ত‌ ছিলেন। নেশাগ্রস্ত অবস্থাতেই তাদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই ঘরটিতে নাবালক ছাড়া আরও ছ'টি কুকুর ছিল। তাকে কোনও প্রশ্ন করা হলে, কোনও কথাই বলেনি। বরং পাল্টা ঘেউঘেউ করছিল সে। 

 

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সারাদিন গৃহবন্দি থাকে নাবালক। ছোট থেকেই তাকে স্কুলে পাঠাননি তার মা। ক্লাস ওয়ানে কয়েকবার স্কুলে গিয়েছিল। ভর্তুকির টাকা ব্যাঙ্কে ঢোকার পর থেকে ছেলেকে আর স্কুলে পাঠান না। ঘরে তালা বন্ধ করে, বাইরে বাইরে, মন্দিরে ঘুরে, টাকা, খাবার জোগাড় করে আনেন। সেই টাকা দিয়ে মা ও বড় ছেলে ড্রাগের নেশা করেন। 

 

বাড়িতে কুকুরগুলোর সঙ্গেই সারাদিন কাটায় নাবালক। কথা বলার কোনও সঙ্গী নেই তার। কুকুরদের সঙ্গে দিনরাত থেকে, তাদের মতোই আচরণ করে। কুকুরের মতো ঘেউঘেউ করে শুধু। ওটাই তার ভাষা এখন। নাবালককে উদ্ধার করে আশ্রমে পাঠিয়েছে পুলিশ।‌ গোটা ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।