আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা। পড়ানোর জন্য জনপ্রিয় ছিলেন। তবে যা ঘটে গিয়েছে তাঁকে কেন্দ্র করে এবং স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি যা স্বীকার করে নিয়েছেন, তারপর থেকেই নিন্দা  দেশজুড়ে। ওই দেশের শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, তিনি আর কখনওই শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না, কাজ করতে পারবেন না। 

ঘটনার মূলে ইজরায়েলের এক শিক্ষিকা। গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। জানা যায়, ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১৭ বছরের দুই পড়ুয়ার সঙ্গে উদ্দাম যৌনতায় লিপ্ত শিক্ষিকা। সমগ্র বিষয়টি আবার দাঁড়িয়ে দেখে অপর এক ছাত্র। টাইমস অফ ইজরায়েল-এ ওই ঘটনাটি প্রকাশিত হয়েছে। যদিও শিক্ষিকার নাম প্রকাশ করেনি ওই সংবাদ মাধ্যম। তবে জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার বয়স ৪৩। তিনি ইংরাজির শিক্ষিকা ছিলেন। একইসঙ্গে দুই পড়ুয়ার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার বিষয়টি চাউর হওয়ার পরেই, তিনি নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন। সিভিল সার্ভিস কমিশন কর্তৃক দোষী প্রমাণিতও হয়েছেন। 

মূলত, ঘটনাটি সামনে আসার পরেই শুরু হয় তদন্ত। প্রায় এক মাসব্যাপী চলা তদন্তে উঠে আসে একের পর এক চমকে ওঠা তথ্য। শিক্ষিকার স্বীকারোক্তির পরেই তাঁকে তাতক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই শিক্ষিকাকে পুনরায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে, একই সঙ্গে আট বছরের জন্য শিশু ও যুব সম্পর্কিত কোনও কার্যকলাপ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাজ্যের কোনও কাজ তিনি আর করতে পারবেন না, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই প্রসঙ্গেও। 

আরও পড়ুন: ফের সুনামিতে তছনছ হবে সবকিছু? দক্ষিণ আমেরিকায় অতি শক্তিশালী ভূমিকম্প, সঙ্গে সঙ্গে জারি চরম সতর্কতা...

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরে, হিব্রু সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনের সময় শিক্ষিকা ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি দাবি করেছেন যে এই ঘটনা কেবল একবারই ঘটেছে এবং তিনি কোনওভাবেই চাননি, তথ্য সামনে আসুক যা তাঁর পরিবারকে বিপদে ফেলবে। সংবাদমাধ্যমে শিক্ষিকার আইনজীবী দাবি করেছেন, তিনি এই মামলার শুরিতেই বুঝতে পেরেছিলেন, গোটা ঘটনাটি ঘটেছে পড়ুয়াদের সম্মতিতেই। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ইজরায়েলে সম্মতি 'কনসেন্ট'-এর জন্য আইনি বয়স ১৬ বছর নির্ধারণ করা হয়েছিল। 

বিষয়টি সম্মতিতে ঘটেছে বলে দাবি করা হলেও, পেশাগত সীমা লঙ্ঘনের জন্য কমিশন ওই শিক্ষিকাকে বরাবরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। প্রসিকিউটর মামলাটি বন্ধ করার সময়, সিভিল সার্ভিস কমিশন ট্রাইব্যুনাল শিক্ষিকাকে তাঁর চাকরি থেকে 'ব্যান' ঘোষণা করে সঙ্গেই জানানো হয়, তাঁর পদে একজন শিক্ষকের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক পেশাগত সীমানাকে চরমভাবে অতিক্রম করেছেন তিনি। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ওই শিক্ষিকা দীর্ঘদিন ধরে ধূমপানের আছিলায় পড়ুয়াদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করেন। পরে দুই পড়ুয়াকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান এবং 

রায়টিতে, ট্রাইব্যুনাল প্রকাশ করেছে যে শিক্ষিকা একসাথে ধূমপান করার সময় ছাত্রদের সঙ্গে অনুপযুক্ত আচরণ শুরু করেছিলেন এবং ধীরে ধীরে তাদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং পরে দু' জনকে তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান, যেখানে তারা তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে। গোতা ঘটনাটি দেখে অপর এক পড়ুয়া, জানা গিয়েছে তেমনটাও। চ্যানেল ১২-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষিকা পড়ুয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন নানাভাবে।