আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘বেবিবাম্প’, অর্থাৎ সন্তান গর্ভাবস্থায় থাকার সময়, মায়ের স্ফিতোদর। তাকেই চলতি ভাষায় বলা হয় বেবিবাম্প। এই মুহূর্তে এই শব্দের প্রয়োগ বেশি। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটিরা, বেবিবাম্প নিয়ে ফটোশুট করে থাকেন অনেকে। আবার নকল বেবিবাম্প পরে অফিস থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছেন যুবতী, এই উদাহরণও রয়েছে। তবে চিনের ঘটনায় তাজ্জব সকলে।

কী ঘটেছে সেখানে? সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, সেখানকার নিম্নমুখী জন্মহার এবং বৈবাহিক হারের মাঝেই অবিবাহিত যুবতীরা নকল বেবিবাম্প পরে, নকল মাতৃত্বকালীন ছবি তুলছেন। কিন্তু কেন?  

কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, যুবতীদের এবং মায়েদের একটি বিশেষ চাহিদা। কী সেই চাহিদা? তা হল, গর্ভাবস্থায় শরীরে যে পরিবর্তন আসে, তার আগেই মাতৃত্বকালীন ছবি তুলে ফেলা। বর্তমান প্রজন্মের কাছে এই 'প্রিমমেড ম্যাটারনিটি' ফটো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইতিমধ্যেই। 

মেইজি নামের সেখানকার একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের পোস্ট এই ছবি তোলার বিষয়টি বেড়েছে ব্যাপকহারে। মেইজি এখন ২৬বছর বয়সী, গর্ভবতী। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, এখন তিনি ২৬, গর্ভবতী হওয়ার পরেও তাঁর শারীরিক পরিবর্তন খুব একটা হয়নি, তবু তিনি ২৩ বছর বয়সেই এই ছবি তুলিয়ে রেখেছিলেন নকল বেবিবাম্প পরে।

 অন্য একজন আবার বলেছেন, ৩০ বছর বয়সে তাঁর শারীরিক গঠন যদি আগের মতো না থাকে, সেই চিন্তায় তিনি ২২ বছর বয়সে, বিয়ের বহু আগেই নকল বেবিবাম্প পরে মাতৃত্বকালীন অবস্থার নকল ছবি তুলিয়ে নিয়েছেন। তাঁদের নকল বেবিবাম্প পরা ছবির নীচে একজন আবার লিখেছেন, তিনি ৩০ বছর বয়সেই ৭০বছরের জন্মদিনের জন্য ছবি তুলিয়ে রাখবেন, কারণ, এখন তিনি অনেক বেশি সুন্দর দেখতে।