আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প-ব্র্যান্ডেড ভদকা চালু করার বিষয়ে আগ্রহী। এই প্রথম নয়, ২০০৫ সালে ট্রাম্প ভদকার সূচনা হয়েছিল। তবে ২০১১ সালেই ওই ব্যবসায় ইতি টেনেছিলেন এই ধনকুবের।  

মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট পুত্র এরিক বলেছেন, "ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলে ট্রাম্প ওয়াইনারি এবং ট্রাম্প সিডারির ​​সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি সংস্থা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। প্রস্তাবও বেশ লোভনীয়।" তবে আলোচনা এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে, কিছুই চূড়ান্ত হয়নি বলে দাবি তাঁর।

ট্রাম্প ভদকার ধারনাটি নতুন নয়। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৫ সালে ট্রাম্প ভদকার লাইসেন্সিং চুক্তি হয়েছিল। সেই সময় রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, টিএন্ডটি (ট্রাম্প অ্যান্ড টনিক) আমেরিকার সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন কড়া পানীয় হয়ে উঠবে। তবে, বহুল প্রচারিত হওয়া সত্ত্বেও, আমেরিকায় ট্রাম্প ভদকার বিক্রি ২০১১ সালে বন্ধ হয়ে যায়। পরে, ২০১৬ সালে র্কেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প যে সম্পদের তালিকা প্রকাশ্যে এনেছিলেন তাতে ট্রাম্র ব্র্যান্ডধারী ভদকা অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর খ্যাতি এবং নাম ব্যবহার করে কয়েক ডজন পণ্য ইতিমধ্যেই বাজারে এনেছেন। যার মধ্যে রয়েছে টুপি, বই, বাইবেল, হাত-ঘড়ি এবং বোতলের জল। গত বছরের সেপ্টেম্বরে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০০,০০০ ডলার মূল্যের ঘড়ির একটি সিরিজ উন্মোচন করেছিলেন। তিনি ১০০ ডলারের রৌপ্য মুদ্রা এবং ১,০০০ জোড়া জুতো, ৬০ ডলারের ট্রাম্প-ব্র্যান্ডেড বাইবেল, সুগন্ধী এবং এনএফটি কার্ডে প্রচার সেরেছিলেন।

তার ৬০ ডলারের বাইবেল বিক্রি করে আয় হয় ৩৯৯,০০০ ডলার। স্নিকার্স বিক্রিতে কমপক্ষে ৩৯৯,০০০ ডলার আয় হয়েছে। তবে, তার সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হলো এনএফটি, যা তাকে লাইসেন্সিং ফি হিসেবে প্রায় ৭.২ মিলিয়ন ডলার লাভ দিয়েছে।