আজকাল ওয়েবডেস্ক: জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ-কাণ্ডে সাফল্য পেল পাকিস্তান সেনা। রাতভর বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) সদস্যদের গুলির লড়াইয়ের পর ১০৪ জন পণবন্দিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে সেনা। এর মধ্যে রয়েছে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন মহিলা এবং ১৫ জন শিশু। সকলকে বোলানের নিকটবর্তী শহর মাচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তৈরি অস্থায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সকলের। 

পাক সেনার দাবি, অভিযানে এখনও পর্যন্ত অন্ত ১৬ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে বিএলএ-র জানিয়েছে, তাদের কোনও সদস্য নিহত হয়নি। উল্টে পাক সেনার ৩০ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়া পণবন্দিদের উদ্ধারে বেগ পেতে হয়েছে সেনাকে। ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্রোহীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে কয়েকজন পণবন্দিকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। 

মঙ্গলবার পাকিস্তানের বালুচিস্তানের কোয়েট্টা থেকে পেশোয়ারে যাওয়ার সময় জাফর এক্সপ্রেসকে হাইজ্যাক করে নেয় বিএলএ-র সদস্যরা। ন’টি কোচবিশিষ্ট ওই ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে শতাধিক পণবন্দি হন। বিএলএ-র তরফ থেকে ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়। বিএলএ তরফ থেকে হুঁশিয়ারি জারি করে বলা হয়েছে, "যদি সেনাবাহিনী কোনও সামরিক অভিযানের চেষ্টা করে, তাহলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। শত শত বন্দিকে মেরে ফেলা হবে। এর দায় সম্পূর্ণরূপে সেনার উপর বর্তাবে।" 

মঙ্গলবার রাতেই অপহৃত ট্রেনটির কাছে পৌঁছে গিয়েছিল পাক নিরাপত্তাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল। তাঁদের মধ্যে পাক সেনার ‘স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ’-এর কমান্ডোরাও ছিলেন। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তাবাহিনী। শুরু হয় অভিযান। বুধবার সকালে দীর্ঘ উদ্ধার অভিযানের পর মেলে সাফল্য। 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি 'শত্রু শক্তি'কে বালুচিস্তানে হিংসা চালিয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্রের জন্য অভিযুক্ত করেছেন।