আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওহিও হ্রদে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হল খুদেকে। বয়স মাত্র চার। উদ্ধার করা হলেও, প্রাণে বাঁচানো যায়নি। স্থানীয়রা আরও আশ্চর্য হচ্ছেন আরও একটি বিষয়ে। কারণ, ওই খুদেকে যিনি ছুড়ে ফেলে দিলেন, তিনি ওই খুদের মা। সন্তানকে জলে ছুঁড়ে ফেলে, নিজেও বাকি তিন সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানা গিয়েছে। তবে চারজনকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে।
ঘটনায় রীতিমতো হইচই। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছরের সন্তানকে জলে ছুড়ে ফেলার পর, আরও তিন সন্তান নিয়ে ওই মহিলাও জলে ঝাঁপ দেন। একজন ১৫ বছরের মেয়ে, এবং দু' জন ১৮ বছর বয়সী যমজ সন্তান। ওই ঘটনার ঘণ্টাখানেক আগে, মহিলার স্বামীও জলে ঝাঁপ দেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে দেখিয়ে দিলেন মোদি, মঙ্গলেই উদ্বোধন হয়ে গেল এসইউভি ই-ভিতারা-র, ভারতের গাড়ি কিনবে একশ দেশ
জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের দাবি, তাঁরা যখন ছুটি কাটাচ্ছিলেন, তখন স্বয়ং ভগবান তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তারপরেই তাঁরা এই চরম পদক্ষেপ বেছে নেন। নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এর প্রতিবেদনের মাধ্যমেই সামনে এসেছে এই ঘটনা। ওই প্রতিবেদনের তথ্য, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই দম্পতি ঈশ্বরের প্রতি তাঁদের বিশ্বাস প্রমাণ করার জন্যই ওই চরম পদক্ষেপ বেছে নিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিনে তাঁরা ভোরবেলা হ্রদের জলে স্নান করে ফেরেন। তার কিছু পরেই ঘটে ঘটনা। কী ঘটেছে? প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মার্কাস জে. মিলার, বয়স ৪৫, হ্রদ থেকে ফেরার কিছুক্ষণ পরে তাঁর স্ত্রীকে বলেছিলেন যে তিনি আবার হ্রদে ফিরে যাবেন এবং একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, সকাল ৬:৩০ মিনিটে তাঁকে জলে নামতে দেখেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই, সকাল ৮:৩০ মিনিটে, ওই মহিলা তাঁর চার সন্তান নিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে হ্রদের দিকেই যান। জানা গিয়েছে, নিজের চার বছরের ছেলেকে জলে ছুড়ে ফেলার পর, যমজ দুই ছেলে এবং এক কিশোরী মেয়েকে নিয়ে তিনি হ্রদের জলে নেমে যান।
তবে, ওই তিন সন্তান জল থেকে নিজেরাই উঠে আসে সুরক্ষিতভাবে। তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, গল্ফ কার্ট দুর্ঘটনার পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। উদ্ধার করা হয় মহিলাকেও। ওই মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানিয়েছেন, তিনি তাঁর ছেলেকে ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করেছিলেন। আর সেই জন্যই খুদেকে জলে ছুড়ে ফেলে দেন। চার বছরের ওই খুদে এবং তার বাবার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: গত কয়েক সপ্তাহে চার বার ফোন করেছেন ট্রাম্প, প্রতিবার প্রত্যাখ্যান করেছেন মোদি, দাবি
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে তথ্য, ওই মহিলাকে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর খুনের অভিযোগ আনা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। ১৫ বছরের কিশোরী মেয়ে এবং ১৮ বছরের দুই যমজ সন্তানকে উদ্ধার করার পর, তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
