আজকাল ওয়েবডেস্ক:  জনসংখ্যা বাড়াতে হবে। তাই সপ্তাহে কাজের সময় বেঁধে দেওয়া হল মাত্র চারদিন। বাকিদিন থাকবে ছুটি। এমনটাই ঘোষণা জাপান সরকারের। 

 


সরকারি কর্মচারীদের জন্য অভিনব পন্থা নিল সে দেশের সরকার। আগামী বছর থেকেই এই নয়া নিয়ম চালু হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কোইকে। তিনি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত দিন কাজের জন্য শিশুর জন্ম এবং জন্মের আগুপিছু যত্নের মতো ঘটনাগুলি অনেকক্ষেত্রেই অবহেলিত হয়। তাই আগামী বছরের এপ্রিল থেকে এই নতুন নিয়ম চালু হবে নাগরিকদের সুবিধের কথা মাথায় রেখেই। সে দেশের সাধারণ অধিবেশনে এমনটাই জানিয়েছেন গভর্নর। 

 

 


এই নতুন নীতির লক্ষ্যই হল জাপানি দম্পতিদের সন্তানধারণে উৎসাহিত করা। জাপানের প্রজনন হার বর্তমানে তলানিতে এসে ঠেকেছে। রিপোর্ট বলছে, গত বছরের হিসেবে এই প্রজনন হার জন্মপিছু ১.২ শিশুতে নেমে এসেছে। যা যথেষ্ট আশঙ্কার। দেশের জনসংখ্যা বাড়াতে চাইলে এই হার অন্তত ২.১ এ আনতে হবে। এর জন্য সে দেশের যুবক-যুবতীদের বেশি করে সময় কাটানো প্রয়োজন। কিন্তু কাজের চাপে বা ওভারটাইমের চক্করে সেটাই হয়ে ওঠে না। গত বছর সে দেশে মাত্র সাত লক্ষ সাতাশ হাজার দুশো সাতাত্তর জন শিশুর জন্ম হয়েছিল। মহিলারাও সে দেশে যথেষ্ট ক্যারিয়ার সচেতন। তাই অনেকক্ষেত্রেই তাঁরা পরিবার আর ক্যারিয়ারের মধ্যে বেছে নেন ক্যারিয়ারকে। যাঁর প্রভাব পড়ছে জনসংখ্যায়। 

 


এই নতুন কর্মপদ্ধতি নিয়ে বছর দুয়েক আগেই একটি মতামত নেওয়া হয়েছিল। তাতে অংশগ্রহণকারী ৯০ শতাংশ কর্মচারী দশের মধ্যে ৯.১ রেটিং দেন। তাঁরা অভিমত জানান, এইভাবে কাজ হলে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভাল হবে। পাশাপাশি কর্ম আর জীবনের ব্যালান্স থাকবে। জাপানের গভর্নর কোইকে জানান, এখন জাতির কঠিন সময় যাচ্ছে। বর্তমানে জনগণনা বাড়ানোই একমাত্র লক্ষ্য। তাই বড় পরিসরের বিষয়টি মাথায় রেখে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সে দেশের সরকার।