আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্যালেস্টাইন অধিকৃত অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। এতে অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্যালেস্টাইনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা। নিহতদের বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু বলে জানা গেছে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে ইজরায়েলি বাহিনী এই হামলা চালায় বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। ওয়াফা বলছে, শনিবার রাতের হামলায় দুটি আবাসিক ভবন গুড়িয়ে গেছে বলে জানা যায়। ইজরায়েলি যুদ্ধবিমান আল-মাগাজি ক্যাম্পের সাম’আন পরিবারের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালালে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া হামলায় আরও বহু মানুষ আহতও হয়েছেন।
বোমা হামলার সত্যতা স্বীকার করে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ওই শরণার্থী শিবিরে হামলা চালানো হয়েছে কিনা তারা তা খতিয়ে দেখছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বুরেজ শরণার্থী শিবিরে বিমানহামলা চালায় ইজরায়েল। এতে ১৫ জন প্রাণ হারান। একইদিনে জাবালিয়া শিবিরেও হামলা চালানো হয় ইজরায়েল।
প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টানা তিন দিনের ইজরায়েলি হামলায় জাবালিয়ায় এ পর্যন্ত ১৯৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও ১২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
অন্যদিকে ইজরায়েলি হামলায় অবরুদ্ধ গাজায় গভীর খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জল ও খাদ্য পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যে দিনে দুই বেলা রুটি খেয়ে বেঁচে আছে গাজার প্রতিটি মানুষ।
গাজার জন্য রাষ্ট্রসংঘ সংস্থার পরিচালক থমাস হোয়াইট শুক্রবার (৩ নভেম্বর) প্যালেস্টাইনি শরণার্থীদের করুণ পরিস্থিতির কথা এভাবেই সামনে আনলেন। প্যালেস্টাইনি উদ্বাস্তুদের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের এ শীর্ষ সহায়তা কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় প্যালেস্টাইনিরা রাষ্ট্রসঙ্ঘের মজুদকৃত ময়দা থেকে তৈরি দুই টুকরো আরবি রুটির ওপর জীবনযাপন করছেন। রাস্তায় এখন গাড়ি থামালে শোনা যাচ্ছে ‘জল জল’ চিৎকার।
রাষ্ট্রসংঘের ডেপুটি মিডইস্ট সমন্বয়কারী লিন হেস্টিংস বলেছেন, দখলদার ইজরায়েল থেকে আসা তিনটি জল সরবরাহ লাইনের মধ্যে মাত্র একটি চালু রয়েছে। জলের অভাবে অনেক মানুষ সমুদ্রের নোনা জল ও ভূগর্ভস্থ জলের ওপর নির্ভর করছেন।