আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্থির বাংলাদেশ। দায় এড়াতে সেদেশের কট্টোরপন্থীদের নিশানায় ভারত। প্রতিবাদ, বিক্ষোভে উঠছে ভারত বিরোধী স্লোগান। বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ নয়াদিল্লি। কিন্তু, আগ বাড়িয়েই সরব পাকিস্তান। 'বন্ধু' ইউনূসের বাংলাদেশকে রক্ষায় ভারতকে হুঁশিয়ারি দিলেন শেহবাজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল) যুব শাখার এক নেতা।
মঙ্গলবার ভারতকে হুমকি দিয়ে পিএমএল নেতা কামরান সাঈদ উসমানি বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর কোনও হামলার ঘটনা ঘটলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র তার জবাব দেবে। উসমানি, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি সামরিক জোট গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
পিএমএল নেতা বলেন, "যদি ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে চ্যাবেঞ্জ করে, যদি কেউ বাংলাদেশের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকানোর সাহস করে, তবে মনে রাখবেন যে- পাকিস্তানের জনগণ, পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বেশি দূরে নেই।"
উসমানি আরও দাবি করেন যে, বাংলাদেশের ওপর নয়াদিল্লির 'অখণ্ড ভারত মতাদর্শ' চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টাকে পাকিস্তান সহ্য করবে না।
একটি ভিডিও বিবৃতিতে উসমানি অভিযোগ করেন যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের আধিপত্য পাকিস্তান মেনে নেবে না। তিনি সতর্ক করে দেন যে, ভারত যদি বাংলাদেশের ওপর হামলা করে বা এমনকী তার সার্বভৌমত্বের ওপর "কুনজরও দেয়", তবে পাকিস্তান জোরালোভাবে এর জবাব দেবে।
উসমানি দাবি করেন যে, পাকিস্তান এর আগেও ভারতকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছিল এবং প্রয়োজনে আবারও তা করতে পারে। তিনি আরও একটি কৌশলগত পরিস্থিতির কথা বলেন, যেখানে পাকিস্তান পশ্চিম দিক থেকে এবং বাংলাদেশ পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ করবে, আর চীন অরুণাচল প্রদেশ ও লাদাখের দিকে মনোযোগ রাখবে।
আরেকটি ভিডিওতে উসমানি আরও এক ধাপ এগিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান জানান। তিনি অভিযোগ করেন যে, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশকে "বিরক্ত" করছে এবং মোদি সরকারের 'অখণ্ড ভারত' মতাদর্শকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে ভেঙে একটি হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করার জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, "আমাদের প্রস্তাব হল পাকিস্তান ও বাংলাদেশের একটি সামরিক জোট গঠন করা উচিত - পাকিস্তানের উচিত বাংলাদেশে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা এবং বাংলাদেশের উচিত পাকিস্তানে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা।"
উসমানি প্রস্তাব করেন যে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের একে অপরের ভূখণ্ডে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দেওয়া উচিত। তার মতে, এই ধরনের ব্যবস্থা কৌশলগত নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করবে এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরকে (সিপিইসি) বাংলাদেশের বন্দরগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
উসমানি দাবি করেন, "যারা বন্দর ও সমুদ্র নিয়ন্ত্রণ করে, তারাই বিশ্ব শাসন করে," এবং যুক্তি দেন যে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সামরিক অংশীদারিত্ব আঞ্চলিক ক্ষমতার গতিপ্রকৃতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে।
