আজকাল ওয়েবডেস্ক: অফিস, বস, সহকর্মী, ব্যস্ততার যুগে দিনের বেশিরভাগ সময় এঁদের সঙ্গেই কেটে যায় কর্মরতদের। বর্তমান যুগ আবার সোশ্যালমিডিয়ার যুগ। স্বাভাবিকভাবেই, অনেকেই নিজেদের নিত্যদিনের ভাল-খারাপ অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ মাঝে মাঝেই অফিসের অতি তিক্ত অভিজ্ঞতা, ‘টক্সিক কালচার’-এর কথা তুলে ধরেন। কোথাও বসের অপমান, কোথাও অতিরিক্ত কাজের চাপ, বহু মানুষ সেসব অভিজ্ঞতার সঙ্গে সহমত পোষোণও করেন। তবে এবার যে ঘটনা সামনে এল, তাতে হতবাক নেটপাড়ার প্রশ্ন, ‘এমনও হয়?’
দিনকয়েক আগের ঘটনা। চীনের হেনান প্রদেশের এক সংস্থার মালিক পাং ডং লাই, কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এবং নিজের সংস্থাকে আরও কর্মী-সহায়ক কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘আনহ্যাপি লিভস’ দিয়েছেন, স্বাভাবিক ভাবেই অফিসের বসের এই উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসিত।
তিনি কর্মীদের জানিয়েছেন, যদি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত থাকেন কেউ, যদি মন ভাল না থাকে, তাহলে সেদিন আর অফিসে যাওয়ার দরকার নেই। তাঁর সাফ বক্তব্য, সবার জীবনে এরকম সময় আসে, যখন তিনি খুশি থাকেন না মোটেই। এরকম দিনে কর্মীদের অফিস যেতে নিষেধ করেছেন তিনি। তাঁর সংস্থার কর্মীরা মন ভাল না থাকলে মোট ১০টি ‘আনহ্যাপি লিভস’ পাবেন।
স্বাভাবিক ভাবেই বসের এমন উদ্যোগে প্রসংশা নেটপাড়ায়। তবে কেউ কেউ আবার প্রশ্ন করে বসেছেন, ‘যদি কারও সারাবছরই মন ভাল না থাকে?’
