আজকাল ওয়েবডেস্ক: একজন সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন ১-২টি ডিম খাওয়া নিরাপদ। তবে, যাদের হৃদরোগ বা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে ডিমের পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ:
ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন বেশি থাকে এবং চর্বি ও কোলেস্টেরল কম থাকে। ডিমের কুসুমে ভিটামিন, মিনারেল এবং কিছু ফ্যাট থাকে। সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন ১টি ডিমের কুসুম এবং প্রয়োজনে আরও কিছু ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যেতে পারে।
ডিমের উপকারিতা:
ডিমের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে যা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। ডিম পেশি গঠন, রোগ প্রতিরোধ এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ ক্ষেত্রে:
যাদের হৃদরোগ বা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তাদের প্রতিদিন ডিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু ক্ষেত্রে, তাদের জন্য ডিমের পরিমাণ সীমিত করা বা ডিমের সাদা অংশ খাওয়া ভালো হতে পারে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই হাই ব্লাড প্রেশারে ভোগেন। আর দিন দিন এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। মুশকিল হল, একবার এই অসুখে আক্রান্ত হলে নানা মুণি নানা মত দেওয়া শুরু করে দেন। কেউ বলেন এটা খাবেন না তো, কেউ বলেন এটা খাবেন না। এমনকী অনেকে তো হাই প্রেশারের রোগীদের ডিম খেতেও বারণ করেন।
হাই প্রেশারে ভুক্তভোগীদের হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। তাই তাঁদের হাই কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর এমনই একটি হাই কোলেস্টেরল সমদ্ধ খাবার হল ডিম। আসলে ডিমের কুসুমে শরীরের প্রয়োজনের তুলনার বেশি কোলেস্টেরল রয়েছে। আর এটাই হল সমস্যার বিষয়। তাই হাই ব্লাড প্রেশারে ভুক্তভোগীদের গোটা ডিম খেতে বারণ করা হয়।
গোটা ডিম না খেলেও সাদা অংশ অনায়াসে খাওয়া যায়। আসলে ডিমের কুসুমে রয়েছে কোলেস্টেরল। এর সাদা অংশে প্রোটিন ছাড়া তেমন কিছু নেই। তাই হাই প্রেশারে ভুক্তভোগীর চাইলে দিনে ১টা কেন, ২-৩টে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এতে উপস্থিত প্রোটিন পেশির জোর বাড়াবে। পাশাপাশি ইমিউনিটি চাঙ্গা রাখার কাজেও এই পুষ্টি উপাদানের জুড়ি মেলা ভার। এমনকী দেহে একাধিক হরমোন তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ডিমের প্রোটিন।
