আজকাল ওয়েবডেস্ক: কী হবে যদি আপনি বিশ্বের তিনটি শক্তিশালী দেশ এবং এশিয়ার বৃহত্তম গণতন্ত্রকে একটি ঘরে বন্দি করে রাখেন। ইতিহাসের পাতায় এটি হবে একটি বিরাট অধ্যায়। এবার এই কাজটি করতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট একটি সুপারক্লাব তৈরি করতে চাইছেন যেখানে বিশ্বের পাঁচটি শক্তিধর দেশ থাকবে। এই তালিকায় রয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, জাপান এবং ভারত। ট্রাম্প মনে করেন, যদি এই শক্তিধর দেশগুলি এক ছাতার তলায় চলে আসে তাহলে সেখান থেকে বিশ্বের অনেকটা সুবিধা হবে।
যদিও এবিষয়ে হোয়াইট হাউজ বিশেষ কিছু মন্তব্য করেনি। তবে ট্রাম্পের এই ইচ্ছা কত দ্রুত বাস্তব হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। চলতি বছরের জুন মাসে ট্রাম্প জি সেভেন সামিটে এমনই একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, রাশিয়া, চিন তাদের পক্ষ থেকে সায় দিয়েছে। তবে ভারতকে তিনি এই ক্লাবে রাখতে চান।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ট্রাম্প অতি সাবধানে এই কাজটি করতে চাইছেন। তিনি মনে করেন যদি এই দেশগুলি একসঙ্গে চলে আসে তাহলে সেখান থেকে তিনি তাদের নেতা হয়ে সকলকে পরিচালনা করতে পারবেন। তবে বিষয়টি যে এতটা সহজ নয় সেকথা তিনি বিলক্ষণ জানেন।
অনেকে মনে করছেন সম্প্রতি ভারতের ওপর আমেরিকা বিরাট শুল্কের হার চাপিয়েছে। সেখান থেকে ভারতের সঙ্গে যাতে দূরত্ব না হয় সেদিকে জোর দিতেই এই খেলা খেলতে চাইছেন ট্রাম্প। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির তালিকায় ভারত রয়েছে। তাকে না চটিয়ে নিজের কাজ হাসিল করতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ভারতের ওপর শুল্ক চাপানোর পর থেকেই ভারত-মার্কিন সম্পর্ক খানিকটা হলেও অবনতি হয়েছে। সেখান থেকে ভারত থেকে মার্কিন দেশে রপ্তানি হওয়া প্রচুর সামগ্রী এখন বিরাট শুল্কের চাপে এসেছে। খোদ মার্কিন দেশের নাগরিকরাই চাইছেন এই শুল্কের হার কমানো হোক। সেবিষয়ে তারা ট্রাম্পের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন। তবে এখানে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন ট্রাম্প। তিনি ভারতকে না চটিয়ে এবার তাকে একটি ক্লাবে আনতে চাইছেন।
একনজরে দেখে নিন মার্কিন শুল্কের খতিয়ান-
২৫% পাল্টা শুল্ক: ২৫% শুল্ক কার্যকর হয় আগস্ট ২০২৫-এ।
অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক: ২৭শে আগস্ট, ২০২৫ থেকে কার্যকর হওয়া এই অতিরিক্ত শুল্কটি আরোপ করা হয়েছিল মূলত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ার ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায়। এই ৫০% শুল্কের মধ্যে ১০% বেসলাইন শুল্কও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই উচ্চ শুল্ক হার সব পণ্যের উপর প্রযোজ্য নয়। কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্র, যেমন স্মার্টফোন, ওষুধ এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য, এই শুল্ক থেকে অব্যাহতি পেয়েছে। তবে, লোহা, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, অটো যন্ত্রাংশ এবং বস্ত্রের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতগুলি মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।
