আজকাল ওয়েবডেস্ক: একলাফে ছক্কা হাঁকালেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক। একধাক্কায় তার সম্পত্তির পরিমান বাড়ল ১৯১ মিলিয়ন। ফলে বর্তমানে তার মোট মোট সম্পত্তির পরিমান হল ৪১১.৪ বিলিয়ন ডলার। তবে প্রশ্ন উঠছে কী এমন করলেন মাস্ক যার জেরে এত দ্রুত তার সম্পত্তির উত্থান হল।
 
 এর আসল রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মাস্কের নিজের কাছেই। যে সময়ে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন ঠিক তারপর থেকেই তার সম্পত্তির পরিমানে বিরাট বদল আসে। একলাফে ফের লাভের মুখ দেখতে থাকেন তিনি।
 
 মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মাস্কের সম্পর্কের অবনতির পর থেকেই কমতে থাকে মাস্কের শেয়ারের দাম। সেখান থেকে তিনি আর দেরি না করে অতি দ্রুত নিজের বুদ্ধির পরিচয় দেন। ফলে সেখান থেকে ফের ঘুরে দাঁড়াল মাস্কের শেয়ারের দাম।
 
 নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মাস্ক এই পোস্টটি করেন। সেখানে তিনি লেখেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে তার জন্য তিনি তার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এই বিষয়টি নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়ে গিয়েছে। ফলে এবার তিনি সেখান থেকে সরে আসতে চান। 
 
 তবে নির্দিষ্টভাবে কোন পোস্টগুলি নিয়ে তিনি দুঃখপ্রকাশ করছেন তা বলেননি তিনি। মাস্কের এই পোস্টের পর জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে টেসলার শেয়ার ২ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
 
 ট্রাম্পের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের একটা বড় অংশের ব্যয়ভার বহন করেছিলেন মাস্ক। গত বছরের সেখানকার নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পসহ রিপাবলিকান প্রার্থীদের পক্ষে প্রায় ৩০ কোটি ডলার ব্যয় করেছিলেন। মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জেতার পর এর কৃতিত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
 
 প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প মার্কিন ফেডারেল কর্মী বাহিনীর আকার কমানো ও সরকারের সামগ্রিক ব্যয় হ্রাস করার উদ্যোগের প্রধান করেছিলেন মাস্ককে। ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ কর বিলের সমালোচনা করার পর গত মাসে ওই ভূমিকা থেকে সরে যান মাস্ক। এই বিলকে অতিরিক্ত ব্যয়বহুল এবং ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নামেন্ট এফিসিয়েন্সির হয়ে তিনি যেসব কাজ করেছেন এটি সেসবকে অবমূল্যায়ন করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
 
 তাদের সম্পর্কে শেষ হয়ে গেছে এমনটি জানিয়ে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছিলেন, আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ডেমোক্র্যাটদের মাস্ক তহবিল দিলে পরিণতি গুরুতর হবে। মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করার কোনও ইচ্ছা নেই বলেও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
 
 সোমবার ট্রাম্প বলেছেন, মাস্ক যদি কল করে তাহলে তার কোনও সমস্যা নেই। তিনি আরও জানান, মাস্কের স্পেসএক্স হোয়াইট হাউজে স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে তা বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনাও তার নেই।
