আজকাল ওয়েবডেস্ক: চার বছর পর ফের একবার হোয়াইট হাউসে ফিরলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হলেন সেই দেশের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট। তবে নিজের গদিতে বসেই তিনি এবার বার্থরাইট সিটিজেনশিপ নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন। এরফলে এই দেশে জন্ম নেওয়া শিশুদের উপর একটি নতুন দিক খুলে গেল।
এরফলে যারা মার্কিন দেশে জন্মগ্রহণ করবেন তারা তো মার্কিন নাগরিক হবেনই। তবে তাদের পিতামাতা যদি অন্য দেশের হয়েও থাকে তবে সেখানেও এবার নিশ্চিন্ত হওয়ার বাণী রইল। পিতামাতার মধ্যে একজনকে মার্কিন নাগরিক হতেই হবে। এমনটাই নির্দেশিকা জারি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরফলে অনেকটা সুবিধা পেয়ে গেল বিদেশী নাগরিক যারা সেদেশের নাগরিক নন।
ট্রাম্প বলেন, যারা মার্কিন দেশে জন্ম নেবেন তারা মার্কিন দেশের নাগরিক হবেন সেটাই স্বাভাবিক। তবে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের উপর বিশেষ নজর রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। যদি পিতামাতার মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক হন তাহলে অনেকটা বিশ্বাসের জায়গা তৈরি হবে। ফলে মিটবে গ্রিন কার্ড সমস্যাও।
ট্রাম্প এদিন আরও বলেন, যারা ভিনগ্রহ থেকে এখানে এসেছেন তাদেরকে এবার নিজেদের গ্রহে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হল। সেই দেশের ১৪ নম্বর অ্যামেডমেন্ট অনুসারে যারা মার্কিন দেশে জন্মগ্রহণ করবেন তারা সেদেশের নাগরিকত্ব লাভ করবেন। তবে যারা বাইরে থেকে আসবেন তাদেরকে এদেশের নাগরিককে বিয়ে করে তবেই সন্তানের জন্ম দিতে হবে। ১৮৬৮ সালে আমেরিকার গৃহযু্দ্ধের সময় থেকে এই নিয়মটি এতদিন অন্যভাবে চালু ছিল। দক্ষিণ দেশ থেকে সেইসময় প্রচুর কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক মার্কিন দেশে চলে আসে।
এরফলে মার্কিন দেশে ইন্দো-আমেরিকানরা কিছুটা হলেও প্রভাবিত হবেন। বর্তমানে এখানে ইন্দো-আমেরিকান রয়েছে ৫.৪ মিলিয়ন যা মার্কিন দেশের ১.৪৭ শতাংশ। এরফলে এখানে যেসব শিশুরা ভিসার সমস্যায় পড়বেন। ফলে তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে।
যাদের গ্রিন কার্ড রয়েছে তারাও এরফলে প্রভাবিত হবেন। জন্মগতভাবে অনেকে মার্কিন দেশে জন্ম নিয়েও সেদেশের নাগরিকত্ব পাবেন না। ২১ বছর বয়সের মধ্যে যদি এইসব শিশুরা বার্থরাইট সিটিজেনশিপের মধ্যে না আসেন তাহলে তাদের সেদেশে থাকাই সমস্যা হয়ে যাবে। যারা মার্কিন দেশে শিক্ষার জন্য গিয়েছেন তাদের উপরেও এই নতুন নিয়ম যথেষ্ট সমস্যা তৈরি করবে।
