আজকাল ওয়েবডেস্ক: নতুন একটি সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে বিরাট তথ্য। সেখানে দেখা গিয়েছে বয়সকালে যদি স্বামী-স্ত্রী-র মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাদের মধ্যে ডিভোর্সের হার বাড়ছে। এই ঘটনা তখন বেশি করে হয়েছে যখন স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এটি সেই বয়সে হচ্ছে যখন তাদের বয়স ৫০ থেকে শুরু করে ৬৪ বছর।


এমনিতেই বয়সকালে দম্পতিদের মধ্যে খুব একটা টান লক্ষ্য করা যায় না। সেখানে তাদের কাছে প্রধান বিষয় হয়ে যায় একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধতা। তবে সেখানে যদি দুজনেই আর্থিকভাবে শক্ত জায়গাতে থাকেন তাহলে সেখানে এই ধরণের সমস্যা বেশি হয় না। তবে যদি সেটা না হয়ে থাকে তাহলে সেখানে তারা সমস্যায় পড়ছেন। তারা নিজের নাতি নাতনির সামনেই একে অপরকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছেন। যদি বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যায় তাহলে তারা একেবারে ডিভোর্সের পথ বেছে নিয়েছেন।


এই ধরণের ঘটনা ইউরোপের বুকে বেশি দেখা গিয়েছে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এখানকার মানুষরা অনেক বেশি আর্থিকভাবে নানা সমস্যার মধ্যে পড়ছেন ফলে সেখানকার প্রবীণরা বয়সকালে নিজের প্রবীণ সঙ্গীকে আর চাইছেন না। বদলে তারা সেই সময় নিজের আর্থিক পরিস্থিতি বিচার করে সেখান থেকে অনেক কম বয়সের সঙ্গীকে বেছে নিচ্ছেন। ফলে সেখান থেকে তাদের নতুন ধরণের সমস্যা তৈরি হয়েছে।


সাধারণত প্রবীণরা একে অপরের কাছে বিরাট ভরসার জায়গা হয়ে ওঠেন। তবে সেদিক থেকে দেখতে হলে এই পরিস্থিতি ফের নতুন করে তৈরি করছে সমস্যা। যদি এই হারে চলতে থাকে তাহলে সেখানে প্রবীণদের মধ্যে যে নতুন সমস্যা আসছে তাকে রুখতে বিশেষ সমস্যা হয়েছে প্রশাসনেরও। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ঘরে মুনাফা তুলছেন সেখানকার উকিলরা। তারা এই সময়কে কাজে লাগিয়ে সেখানে দ্রুত ডিভোর্সের পথে চলে যাচ্ছেন। সেখানে তাদের লাভ বেশি হচ্ছে।


ইউরোপের বুকে এই ধরণের ঘটনা সামাজিক অবক্ষয়কে তুলে ধরছে। ফলে সেখান থেকে যদি এই হারে ডিভোর্সের হার বাড়তে থাকে তাহলে সেখানে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে কোন বার্তা আসতে পারে সেটা নিয়েই চিন্তায় পড়েছেন সেখানকার মানুষরা। তারা মনে করছেন যেভাবে এই ধরণের ঘটনা বাড়ছে তাতে সেখানে প্রবীণ বৃদ্ধাদের সমস্যা বেশি তৈরি হয়েছে। এই বয়সে তারা কোথায় গিয়ে নিজেদের বাকি জীবন কাটাবেন তাই ভেবে তারা কোনও পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। সেখানে তারা নিজেদের সন্তানের দিকে চেয়ে রয়েছেন।


সমীক্ষকরা মনে করছেন যদি এই ধরণের ঘটনা বাড়তে থাকে তাহলে আগামীদিনে সামাজে নতুন করে ভেদাভেদ তৈরি হবে। সেখানে প্রবীণ নাগরিকদের নিয়ে নতুন কোনও পথ বের করতে হবে।