আজকাল ওয়েবডেস্ক: মার্কিন মুলুকে নির্বাচন পেরিয়েছে। ভোট জিতে ক্ষমতায় ফিরেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর দেশের মার্কিন মুলুক ছাড়িয়ে  বিশ্বের রাজনীতিতেও কী কী ঘটতে চলেছে, নজর সেদিকে। তবে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে আরও একটি বিষয়। তথ্য বলছে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর, আচমকা মার্কিন মুলুকে বেড়েছে গর্ভনিরোধক কেনার হিড়িক। কিন্তু আচমকা এর চাহিদা বাড়ার কারণ কী?

বেশ কয়েকটি প্রজনন-স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, নির্বাচনের পর থেকে জরুরি গর্ভনিরোধকগুলির চাহিদা বেড়েছে। মার্কিন সংবাদ সংস্থা বলছে, এইড অ্যাক্সেস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভনিরোধক সরবরাহকারীদের মধ্যে অন্যতম সংস্থা জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ হাজার গর্ভনিরোধকের অর্ডার পেয়েছে। এই পরিমাণ অর্ডার একপ্রকার নজিরবিহীন বলে মনে করছে ওই সংস্থা। তাদের বক্তব্য সাধারণ যে কোনও দিনের অর্ডারের অন্তত ১৭ গুণ চাহিদা বেড়েছে। 


জাস্ট দ্য পিল, আরেকটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা ফোনের মাধ্যমে ওষুধ লিখে দেয়। তারা জানিয়েছে, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ১২৫টি অর্ডারের মধ্যে ২২টি এমন অনুরোধ এসেছে, যাঁরা গর্ভবতী নন। গর্ভবতী না হয়েও এই ধরনের অর্ডার তাদের কাছে আসেনি বলেও জানিয়েছে তারা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর, গর্ভপাত বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় গর্ভনিরোধক কিনে রাখছেন তাঁরা। প্ল্যান সি বলে একটি সংস্থা রয়েছে সে দেশে, যারা গর্ভিনিরোধক ওষুধ সম্পর্কে তথ্য দেয়, তারা জানিয়েছে, অন্যান্য দিনে গড়ে চার থেকে সাড়ে চার হাজার মানুষ তাদের ওয়েবসাইট থেকে তথ্যের খোঁজ করলেও এখন সেই সংখ্যা গড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজারে। 

উল্লেখ্য, মার্কিন মুলুকে গর্ভপাত বিরোধী চিকিৎসকরা মিফেপ্রিস্টোনের অ্যাক্সেস সীমিত করার জন্য একটি মামলা দায়ের করেছে। যদিও যদিও ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের একজন মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট এই আলোচনার মাঝেই জানিয়েছেন, ট্রাম্প গর্ভপাতের অধিকারের বিষয়ে রাজ্যগুলি উপরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন।