আজকাল ওয়েবডেস্ক:  যদি চারিদিকের পরিবেশ ভাল করে খতিয়ে দেখেন তাহলে দেখতে পারবেন কীভাবে পরিবেশে বাড়ছে কার্বনের পরিমান। সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে আগামী ৩ বছরের মধ্যে কার্বন গোটা বিশ্বের তাপমাত্রাকে অনেকটা বাড়িয়ে দেবে। প্রায় ২.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট বাড়বে তাপমাত্রা। ফলে সেখান থেকে গোটা বিশ্বের তাপমাত্রাতে বড় ধরণের পরিবর্তন ঘটবে।


ইতিমধ্যেই বিশ্ব উষ্ণায়নের ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সমুদ্রের জলের উচ্চতা বাড়ছে, গলে যাচ্ছে দুই মেরুর বরফ। তৈরি হয়েছে গ্রিনহাউজ গ্যাস। সেদিক থেকে দেখতে হলে এবার নতুন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে কার্বনের আধিক্য।


বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ১৩০ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড আমরা ছাড়ছি। ফলে সেখান থেকে আমরা বুঝতেই পারছি না কীভাবে প্রতি বছরেই প্রায় ১.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ছে। যদি এই হারে চলতে থাকে তাহলে বিশ্ববাসী কর্বনের ভয়াবহ দূষণ থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে পারবে না। পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির পিছনে কার্বনের একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে। সেখানে আমাদের নিঃশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারখানা থেকে কার্বনের যে ক্ষতিকারক ধোঁয়া সকলকে গ্রাস করছে সেখান থেকে আর মুক্তি নেই।


লিড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মনে করছেন যেভাবে কার্বনের ক্ষতিকারক দিক সকলকে গ্রাস করছে সেখান থেকে দেহে নানা ধরণের এমন রোগের উৎস হতে পারে যেগুলি আগে হয়নি। পাশাপাশি বিভিন্ন অতিমারি, মহামারি থেকে শুরু করে নানা ধরণের রোগ-জীবানুও বাড়বে এখান থেকে। 


এই সবের মধ্যে আরও একটি চিন্তার বিষয় হল সমুদ্রের জল প্রচুর তাপমাত্রাকে শোষণ করে নিচ্ছে। ফলে সেখান থেকে আগামীদিনে সমুদ্রের নিচের প্রাণীরা অনেকটা প্রভাবিত হতে পারে। যদি এই হারে চলতে থাকে তাহলে পৃথিবীতে ভূমিকম্প থেকে শুরু করে বন্যা এবং সুনামির মতো ঘটনা আরও বাড়বে। পৃথিবীর বাতাস থেকে এই কার্বনের পরিমান যদি না কমে তাহলে যে হারে তাপমাত্রা বাড়বে তাতে সকলেরই বিরাট ক্ষতি হবে।