আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্রিটিশ অভিজাত স্যার বেঞ্জামিন স্লেড আবারও নতুন সঙ্গীর খোঁজে প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। ৭৯ বছর বয়সী এই ব্যারোনেট বহু বছর ধরে এমন এক তরুণী স্ত্রী খুঁজছেন, যিনি তার পরিবারের বংশধারা বজায় রাখতে সক্ষম এবং একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দিতে পারেন। ‘দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্লেড এ জন্য বছরে ৫০ হাজার পাউন্ড বেতন, থাকার ব্যবস্থা এবং খাবার দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন।

স্যার বেঞ্জামিন স্লেড মাউনসেল হাউসের সপ্তম ব্যারোনেট এবং তার ১,৩০০ একর জমির বিশাল এস্টেট রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীর বয়স তার চেয়ে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ বছর কম হওয়া উচিত। তিনি মজা করে বলেন, উপযুক্ত নারী হলে তার নিজের একটি মেয়ে থাকলেও সমস্যা নেই। তবে শর্তও কম নয়—বিচারবিদ্যার পটভূমি থাকা বা হেলিকপ্টার চালানোর লাইসেন্স থাকলে বাড়তি সুবিধা মিলবে। আবার স্করপিও রাশির মহিলা, ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকার পাঠক, কিংবা এমন কোনও দেশের মানুষ—যার নাম ‘I’ দিয়ে শুরু বা যার জাতীয় পতাকায় সবুজ রং রয়েছে—তাদের আবেদন না করাই ভালো বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

অর্থনৈতিকভাবে বিত্তবান কাউকে তিনি বেশি পছন্দ করবেন বলে জানিয়েছেন। তার তালিকায় স্পষ্ট লেখা রয়েছে—“ব্যক্তিগত কিছু পুঁজি থাকলে ভালো। আর বড় সম্পদ থাকলে আরও ভালো!”

যদিও সম্পদের পরিমাণ বিপুল, স্লেড বর্তমানে আর্থিক সংকটে রয়েছেন এবং পরিবারের বহু প্রজন্ম ধরে থাকা এস্টেট একটি বিলাসবহুল হোটেল গ্রুপের কাছে বিক্রি করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিবাহ অনুষ্ঠান ভাড়া ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার আয় মারাত্মকভাবে কমে গেছে।

বংশধারা ধরে রাখতে তিনি নিজের শুক্রাণু ফ্রিজারে সংরক্ষণ করে রেখেছেন, যা নাকি নয় মাসের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম। ২০০৮ সাল থেকেই তার এই ‘উত্তরাধিকারী সন্ধানের’ প্রচেষ্টা সংবাদমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্র ছিল। সেই সময় তিনি বলেছিলেন—“নতুন গাড়ি চাইলে নতুনটাই নাও, পুরনো মরচেধরা গাড়ি নয়।”

২০২১ সালে তিনি মার্কিন কবি সাহারা সানডে স্পেনের সঙ্গে আইভিএফের মাধ্যমে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তবে নির্ধারিত দুটি বিয়ের পরিকল্পনা তিনি শেষ পর্যন্ত বাতিল করেন এবং বর্তমানে সেই সন্তানের সঙ্গেও তার যোগাযোগ নেই বলে জানা যায়।

এর আগে ১৯৯১ সালে তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রী পলিন মাইবার্গকে ডিভোর্স  দেন। কারণ হিসেবে তিনি দাবি করেছিলেন—মাইবার্গের বাড়িতে থাকা ১৭টি বিড়ালের সঙ্গে থাকা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। সংসারে কোনও সন্তান হয়নি।

প্রচেষ্টা, বিজ্ঞাপন, সাক্ষাৎকার—সব মিলিয়ে প্রায় তিন দশক পেরিয়ে গেলেও স্যার বেঞ্জামিন স্লেড এখনও দৃঢ়ভাবে আশা করছেন যে কোনও এক তরুণীই তার বংশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।