আজকাল ওয়েবডেস্ক: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ফের অশান্ত পদ্মাপার। গত কয়েকদিনে একের পর এক অশান্তির ঘটনা ঘটেছে সেখানে। যে ঘটনার রেশ ধরে নতুন দফায় অশান্তির সূচনা, সেই চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি থেকে জামিনের মামলার শুনানিই হল না মঙ্গলবার।
গত সোমবার গ্রেপ্তার হন সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। তারপর থেকেই উত্তাল পদ্মাপার। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে তাঁর জামিন মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এর আগে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের হয়ে সওয়াল করার জন্য আদালতে হাজির হয়েছিলেন ৫৩জন আইনজীবী। কিন্তু তাঁদের বেশকিছু মামলায় আসামী করা হয়। অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁর এক আইনজীবীর বাড়িতেও হামলা চলে বলে অভিযোগ। এক আইনজীবী গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। তারপর, এদিন চিন্ময়কৃষ্ণের হয়ে সওয়াল করার জন্য কেউ ছিলেন না।
মঙ্গলবার আদালতে পিছিয়ে গেল চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন মামলার শুনানি। একসঙ্গে একমাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৩ডিসেম্বরের পর এই মামলার শুনানি হবে একেবারে ২ জানুয়ারি। অর্থাৎ এখনও একমাস জেলে থাকতে হবে তাঁকে। উল্লেখ্য, গত সোমবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণকে আটক করা হয়। পরে জানানো হয় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারির পরের দিন তাঁকে আদালতে পেশ করা হলেও, জামিন হয়নি। পরিবর্তে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। তারপর থেকেই একের পর এক ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশের পরিস্থিতি।
