আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাত থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। হাসিনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই, দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটছিল। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর থেকে, দু'দেশের পরিস্থিতি নিয়ে চাপানউতোর বাড়ছে দিনে দিনে।
মঙ্গলবারের ঘটনা তারই একধাপ, তেমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় বর্মাকে আজ, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। প্রথম আলোর'র প্রতিবেদনে উল্লিখিত, নয়াদিল্লি-সহ একাধিক স্থানে বাংলাদেশ উপদূতাবাসের নিরাপত্তা জনিত প্রশ্নে এই তলব। তাঁকে একাধিকস্থানে দূতাবাস-উপদূতাবাসের নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ করা হবে বলে খবর সূত্রের।
দশ দিনে এই নিয়ে প্রণয় বর্মাকে তলব করা হল দ্বিতীয় বার। এর আগে, ইউনূস সরকারের বিদেশমন্ত্রক ১৪ ডিসেম্বর তলব করেছিল তাঁকে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম তাঁকে তলব করেছে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিভিন্ন ঘটনায় ছ'বার তলব করা হল বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে।
অন্যদিকে, একাধিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারের হামলার ঘটনার পর, বাংলাদেশে ২০ জন নেতা ও গণমাধ্যম কর্মীকে বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা ট্রিবিউন-এর মতে, ২০ জনের মধ্যে রয়েছেন, ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)'র ছ'জন শীর্ষ নেতা, দৈনিক প্রথম আলো এবং দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার থেকে নতুন দফায় উত্তাল বাংলাদেশ। সে দেশে অবস্থিত একাধিক ভারতীয় উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায়, নিরাপত্তার প্রশ্নে, পরিস্থিতি বিচারে ভারত বাংলাদেশে অবস্থিত একাধিক উপদূতাবাস, ভিসা কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ঠিক একই সিদ্ধান্তের যেন পুনরাবৃত্তি। বাংলাদেশও ভারতে অবস্থিত তিন জায়গার ভিসাকেন্দ্র বন্ধের নোটিস জারি করতল রাতারাতি। তালিকায় দিল্লি, শিলিগুড়ি এবং আগরতলা।
প্রথমে দিল্লির ভিসা কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা। তারপরেই শিলিগুড়ি এবং আগরতলা। সোমবার রাতে নোটিস জারি করে বাংলাদেশ উপদূতাবাস, ত্রিপুরা জানিয়ে দেয়, আজ অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ উপদূতাবাস ত্রিপুরা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সকলপ্রকার ভিসা প্রদান এবং কনস্যুলার কাজ বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর, দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে কয়েকজন জড়ো হন। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের দাবি, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ঘটনাটিকে অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করে। অন্যদিকে ইউনূস সরকারও ঘটনা প্রসঙ্গে বার্তা দেয়। দু'দেশের কুটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই এবার একে একে দু' দেশে বন্ধ হল, দু' দেশের একাধিক ভিসা কেন্দ্র। তার মাঝেই ফের তলব ভারতের রাষ্ট্রদূতকেও।
