আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোটা সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল ওপার বাংলায়, সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই ৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে, দেশ ছাড়েন মুজিব-কন্যা। মাঝে কয়েকমাস গিয়েছে, বাংলাদেশে এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই সরকারের মাথায় মোহম্মদ ইউনূস। এসবের মাঝেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শুধু তাই নয়, হাসিনাকে দেশে ফেরার জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমা।
আগস্টে গণ অভ্যুত্থানের মাঝে তড়িঘড়ি দেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে আর দেশে ফেরেননি। অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে হাসিনার বিরুদ্ধে পরপর মামলা দায়ের হয়েছে। সূত্রের খবর একাধিক গণহত্যার মামলা-সহ, হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা শতাধিক।
কোটা সংস্কার বিরোধী আন্দোলনের সময় ঘটা অপরাধ-হত্যা মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। হাসিনাকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে দেশে ফেরা এবং ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দুটি পৃথক আবেদনের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তাঁদের মধ্যে লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জাফর ইকবাল, প্রাক্তন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরি মানিক অন্যতম।
