আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্ববাজারে ট্রেড ওয়ার বা বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা চরমে পৌঁছনোর প্রেক্ষিতে সোমবার ভারতীয় শেয়ারবাজার ব্যাপক ধসের সম্মুখীন হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক নীতির জেরে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, তারই প্রতিফলন ঘটে এশিয়া-সহ গোটা বিশ্বের বাজারে। গত কয়েকঘণ্টায় আরও তীব্র হয়েছে চীন-আমেরিকা শুল্কযুদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে নজর ছিল, সোমের পর মঙ্গলে কোন অবস্থায় থাকে এশিয়ার শেয়ার বাজার। আরও বড় ক্ষতি, নাকি ২৪ ঘণ্টায় সামলে উঠতে পারবে পরিস্থিতি?
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধাক্কা সামলে উঠেছে এশিয়ার শেয়ার বাজার। আমেরিকা-চীনের একে অপরকে শুল্ক নিয়ে হুমকি মাঝেই ইউএস ফিউচার মার্কেটের উত্থান হওয়ায় এশিয়ার শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে দেখা গেল জাপানের নিক্কেই, দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি এবং অস্ট্রেলিয়ার এএসএক্স ২০০ গ্রিণ সিগন্যালে। যদিও তারা সোমবারের বিপুল ক্ষতির মাত্র একটি অংশ পুনরুদ্ধার করেছে।
 
 সোমবার একধাক্কায় পয়েন্ট ৭.৮ শতাংশ কমে যাওয়ার পর, মঙ্গলবার ৬ শতাংশ বেড়েছে। নিক্কেই ২২৫ সূচক ৫.৮১ শতাংশ বা ১,৮০৯.৯২ পয়েন্ট বেড়ে ৩২,৯৪৬.৫০ ইয়েনে পৌঁছেছে। সিউলের কোস্পি সূচকও প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে।মঙ্গলবার দাম বেড়েছে অষ্ট্রেলিয়ান সূচকেরও। 
মঙ্গলের সকাল থেকে গ্রিণ ভারতীয় শেয়ার বাজারও। প্রি-ওপেন সেশনে সেনসেক্স ৫৫০ পয়েন্টের বেশি উঠেছে, নিফটি ২২,৪৪০-এ দাঁড়িয়ে।
তবে শেয়ার বাজার নিয়ে আশঙ্কা কাটছে না কিছুতেই। তার নয়া কারণ অবশ্যই আমেরিকা-চীন শুল্কযুদ্ধ। আগে থেকেই চীন থেকে যেসব দ্রব্য রপ্তানি হত আমেরিকায়, তার উপর ১০ শতাংশ শুল্ক ছিল। এপ্রিলের শুরুতেই ট্রাম্প আরও ৪৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন চীন থেকে আমদানিকৃত দ্রব্যের উপরে। অর্থাৎ শুল্কের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশে। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা চীন মার্কিন দ্রব্যের উপর শুল্ক আরোপের বার্তা দিলেই, বড় হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন চীন নিজেদের হুঁশিয়ারি ফিরিয়ে না নিলে তিনি চীন থেকে আমদানিকৃত দ্রব্যের উপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বসাবেন। তাতে চীনা দ্রব্যের উপর শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০৪ শতাংশে। এই শুল্ক-পাল্টা শুল্ক হুঁশিয়ারি বিশ্ব বাণিজ্যকে কোন দিকে নিয়ে যায়, নজর সেদিকেই।
