আজকাল ওয়েবডেস্ক: বড়দিনের উদযাপনের মাঝেই রক্তস্রোত ফ্রান্সের রাস্তায়। বড়দিন উপলক্ষে উদযাপনের সময় ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে বেপরোয়া গতির গাড়ি। পরপর কয়েকজন পিষেও দেয়। হুল্লোড়ের মাঝেই একাধিক প্রাণহানি। এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ফ্রান্সের ওয়াদলুপের সেন্ট-অ্যানের শোয়েলচার স্কোয়ারের চার্চের উল্টোদিকে বড়দিন উপলক্ষে উদযাপনে মেতেছিলেন স্থানীয়রা। পর্যটকরাও ছিলেন সেই ভিড়ে। ক্রিসমাস উপলক্ষে বড়সড় জমায়েত হয়েছিল ওই এলাকায়। সেই ভিড়ে বেপরোয়া গতির একটি গাড়ি ঢুকে পরপর কয়েকজনকে পিষে দেয়।
দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ন'জন। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যেই ঘাতক গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করেছে তারা। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই গাড়ির চালক মত্ত অবস্থায় ছিল। সেই কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেপরোয়া গতিতে ভিড়ে মধ্যে ঢুকে পরপর কয়েকজনকে পিষে দেয়।
কিন্তু কী কারণে এই ঘটনাটি ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। দুর্ঘটনার কারণ ঘিরে পুলিশ সুস্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি। দুর্ঘটনায় তিনজনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল জার্মানিতে। ক্রিসমাসের সব আনন্দ মুহূর্তের মধ্যে বদলে গেল হাহাকারে। জার্মানির বার্লিন থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে ম্যাগডেবার্গে ভিড়ের মাঝে সোজা ঢুকে পড়েছিল একটি বেপরোয়া গাড়ি। ঘটনায় দু'জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারার আশঙ্কা ছিল। আহত হয়েছিলেন অন্তত ৬০ জন।
এই ঘটনায় এক সৌদি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছিল জার্মান পুলিশ। জানা গিয়েছে ৫০ বছর বয়সি ধৃত ওই ব্যক্তি পেশায় একজন চিকিৎসক। জার্মান পুলিশ জানিয়েছিল, ওই ব্যক্তি ছিলেন ‘লোন অ্যাটাকার’ অর্থাৎ তিনি একাই হামলা চালিয়েছেন। কী কারণে বড়দিনের উদযাপনের মাঝেই হামলা চালিয়েছিল, তা ঘিরে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে।
খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিনের মরশুমে দেশে দেশে শুরু হয়েছে উদযাপন। লন্ডন থেকে বার্লিন, বিভিন্ন শহরের ক্রিসমাসের আলোকসজ্জা নজর কাড়ছে। যীশুর জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত বেথলেহেম শহরেও বড়দিন উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
নজরকাড়া আলোকসজ্জা করা হয়েছে লন্ডনেও। রঙিন আলোয় সজ্জিত বিখ্যাত কিউ গার্ডেন বা রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনের। যা দেখতে ছুটে যাচ্ছেন সব বয়সী মানুষ। ডিসেম্বরে ক্রিসমাস ঘিরে লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী এ উদ্যানে দর্শনার্থী আনাগোনা বাড়ানোর পাশাপাশি সবার মাঝে এখন থেকেই ক্রিসমাস আনন্দ ছড়িয়ে দিতে এ আয়োজন। এ আলোর আয়োজন ১৪ নভেম্বর রাত থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি রাত পর্যন্ত চলবে।
