আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লি সরকার রবিবার এক পরামর্শ জারি করেছে। জানানো হয়েছে যে, আগামী দুই দিনের মধ্যে যমুনা নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপরে উঠতে পারে। সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯ আগস্ট রাত ২টোর মধ্যে যমুনার জলস্তর ২০৬ মিটার বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ নদীর জলস্তর বাড়তে থাকলে তা বন্যার আশঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে। রাজধানীতে টানা কয়েকদিনের অতি বৃষ্টির ফলে যমুনার জল ক্রমে বেড়ে চলেছে।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, এই মৌসুমে প্রথমবার হথিনিকুন্ড ব্যারাজের ১৮টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেখান থেকে ১.১৬ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সেচ বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই জল দিল্লি পৌঁছতে সাধারণত ৪৮ থেকে ৫০ ঘণ্টা সময় নেয়।

এদিকে, রবিবার হরিয়ানার সোম নদীর জলস্তরও হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। যমুনানগর ও আশপাশের হিমাচল প্রদেশে টানা ভারী বৃষ্টির কারণে এটি হয়েছে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। হরিয়ানার পানিওয়ালা সহ একাধিক গ্রামে নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ধনৌরা গ্রামে একটি সেতুর উপর দিয়ে নদীর জল উপচে পড়তে দেখা যায়, যা হরিয়ানার রণজিতপুরকে হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করে। যমুনানগর ছাড়াও হরিয়ানার পঞ্চকুলা, কুরুক্ষেত্র ও আম্বালার একাধিক অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হয়েছে।

চণ্ডীগড়েও রবিবার সুখনা হ্রদের জল বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছনোয় একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, হ্রদের তিনটি বন্যা গেটের মধ্যে একটি গেট খোলা হয়েছে অতিরিক্ত জল ছাড়ার জন্য। জল ছাড়ার আগে আশেপাশের সব অঞ্চলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। সাধারণভাবে ১১৬৩ ফুট জলস্তর পৌঁছালে এই গেটগুলি খোলা হয়।

আরও পড়ুনঃ মেঘের দেশে যৌনতার সীমা ছাড়ালেন তরুণী! মায়ের ঘুম ভাঙতেই যা হল...

বর্তমান পরিস্থিতির উপর প্রশাসনের কড়া নজরদারি রয়েছে এবং নদীগুলোর আশপাশে বসবাসকারী মানুষদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দিল্লিতে জনজীবন শিথিল হয়ে  গিয়েছে। দিল্লির কিছু অংশে বৃহস্পতিবার দিনভর প্রবল বৃষ্টিপাতে জনজীবনে ব্যাঘাত ঘটেছে। একদিকে যেমন এই বৃষ্টিপাত চরম তাপদাহ ও আর্দ্রতা থেকে স্বস্তি এনেছে, অন্যদিকে তেমনই শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে যান চলাচলে পর্যন্ত মারাত্মক বিঘ্ন দেখা গিয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (IMD) জাতীয় রাজধানীর কয়েকটি অঞ্চলের জন্য বর্তমানে লাল সতর্কতা জারি করেছে।

আরও পড়ুনঃ রাজনীতি নয়, সুরেই মুগ্ধতা ছড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী! রাজভবনে 'পহেলা নশা' পরিবেশনে কনরাড সাংমার সঙ্গীতপ্রেমে

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা গিয়েছে৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ একটি পরামর্শ জারি করেছে। ‘এক্স’-এ একটি পোস্টে দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে, 'এহেন চলমান বৃষ্টির কারণে আনন্দ পর্বতের নিউ রোহতক রোডের গলি নম্বর ১০-এ জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে, যার ফলে কোমাল টি-পয়েন্ট থেকে পাঞ্জাবি বাগ ও উল্টো দিকে উভয় দিকের গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।'