আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের দিনেই বিপত্তি। ফুলশয্যায় সোহাগের বদলে, নবদম্পতির সম্পর্কে ধরল চিড়। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার আগেই স্বামী যা জানালেন, তা শুনেই বিয়ে ভাঙার ঘোষণা করলেন নববধূ। বিয়ের তিনদিনের মাথায় ডিভোর্সের আবেদন করলেন তিনি। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের তিনদিনের মাথায় বিচ্ছেদের ঘোষণা করে, ডিভোর্সের আবেদন করেছেন এক তরুণী। কারণ, ফুলশয্যায় স্বামী জানান, তিনি যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারবেন না। যৌন মিলনে অক্ষম ওই তরুণ। 

তবে বিয়ের আগে বিষয়টি জানাননি তিনি। বিয়ের পর ফুলশয্যায় নিজের অক্ষমতা জানান। নববধূর পরিবার জানিয়েছে, তরুণের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানা গেছে, তিনি কখনও বাবা হতে পারবেন না। এরপরই দুই পরিবারের তরফে একে অপরকে যাবতীয় উপহার ফেরত দেওয়া হয়েছে। বিয়ে ভাঙার ঘোষণা করেছেন নববধূ। 

তরুণকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, 'আমি এমন কারও সঙ্গে আজীবন থাকতে পারব না, যিনি যৌন মিলনে অক্ষম। বিষয়টি আমি জানতে পারি বিয়ের রাতে। বিয়ের আগে সত্যিটা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।' 

২৫ বছর বয়সি ওই তরুণ পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। তিনি গোরখপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথোরিটিতে কর্মরত রয়েছেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে বেলিয়াপুরের বাসিন্দা ওই তরুণীর পরিবার। আত্মীয়রাই দেখাশোনা করে বিয়ে ঠিক করেন। গত ২৮ নভেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। পরদিন শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে বিষয়টি জানতে পারেন নববধূ। 

ঘটনাটি পরিবারে জানাজানি হয় পয়লা ডিসেম্বর। সেদিন রীতি অনুযায়ী নববধূর শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা। সেদিনই চুপিচুপি বাবাকে তরুণী জানান, তরুণ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে অপারগ। সেদিন শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের না জানিয়েই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান ওই ব্যক্তি। 

৩ ডিসেম্বর দুই পরিবারের সদস্যরা মিলে বৈঠক করেন। সেখানেই তরুণের পরিবারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেয় তরুণীর পরিবার। বিয়ের আগে একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা লুকিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন, পাত্র যৌন মিলেন অক্ষম, এবং এটি তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে, এই বিষয়ে কিছুই জানায়নি তাঁর পরিবার। ঠিক এই কারণেই প্রথম স্ত্রী বিয়ের একমাস পর বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন। 

এরপর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া পাত্রকে। সেখানে রিপোর্টে জানা যায়, তিনি কখনও বাবা হতে পারবেন না। এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করে তরুণীর পরিবার। পুলিশের হস্তক্ষেপের পর পাত্রের পরিবার একমাসের মধ্যে বিয়ের উপহার এবং আরও সাত লক্ষ টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়েছে। ডিভোর্সের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।