আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফাঁকা বাড়ি। স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। মাত্র দশ দিন আগেই ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তরুণী। সংসারে ছিল দেড় বছরের আরও এক কন্যাসন্তান। স্বামী অনুপস্থিতিতে দুই কন্যাসন্তানের গলা কেটে নির্মমভাবে খুন করলেন মা। চরম মানসিক চাপে এরপর আত্মঘাতী হন তরুণী। যে ঘটনায় শিউরে উঠেছে প্রতিবেশী থেকে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার মহীশূরে দুই সন্তানকে নির্মমভাবে খুন করেন তাদের মা। এরপর তরুণী আত্মঘাতী হন। ঘটনাটি ঘটেছে পেরিয়াপাটনা তালুকের বেত্তাদাপুরা গ্রামে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, দশ দিনের এক সদ্যোজাত কন্যাসন্তান ও দেড় বছরের মেয়ের গলা কেটে খুন করেন আরাবিয়া ভানু নামের তরুণী। এরপর তিনি আত্মঘাতী হন। তরুণীর স্বামী বেঙ্গালুরুতে একটি শপিং মলে কাজ করেন। সদ্যোজাত ও খুদে কন্যাসন্তানকে নিয়ে তিনি একাই থাকতেন বাড়িতে।
পুলিশের অনুমান, পারিবারিক ঝামেলা ও দাম্পত্য কলহের জেরেই চরম পদক্ষেপ করেছেন তরুণী। ফাঁকা বাড়িতে দুই কন্যাসন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করেন। মানসিক চাপে নিজেও আত্মঘাতী হন। তবে এহেন চরম পদক্ষেপের নেপথ্যে আর কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুন ও আত্মহত্যার মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসেই এমন একটি খুনের ঘটনা ঘটেছিল। দুই বছর বয়স হলেও, কথা বলতে পারত না খুদে সন্তান। স্পিচ থেরাপি চললেও, সন্তানের কথা না বলাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হত স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েই চরম পদক্ষেপ করলেন এক তরুণী। স্বামীর অনুপস্থিতিতে দুই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চল্লরী সাইলক্ষ্মী দুই বছরের যমজ সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন। দুই বছরের যমজ সন্তানের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করেন তিনি। যমজ সন্তানের মৃত্যু নিশ্চিত হতেই আত্মঘাতী হন তরুণী।
ভোররাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের বলানগরে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, দুই যমজ সন্তানকে খুনের পর পাঁচ তলা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। খুন ও আত্মহত্যার সময় সাইলক্ষ্মীর স্বামী অনিল কুমার কর্মক্ষেত্রে ছিলেন। তরুণীর পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই অনিল কুমারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অনিল কুমারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল সাইলক্ষ্মীর। সেই ঝামেলার কারণেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরেই চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তরুণী। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সাইলক্ষ্মী ঝাঁপিয়ে পড়ার পরেই প্রতিবেশীরা টের পান। তড়িঘড়ি করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তরুণীর ঘর থেকে যমজ সন্তানের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ আধিকারিক টি নরসিংহ রাজু জানিয়েছেন, যমজ সন্তানের একজনের স্পিচ থেরাপি চলেছিল। দুই বছর বয়স হলেও, ঠিক মতো কথা বলতে পারত না সে। খুদে সন্তানের কথা না বলাকে কেন্দ্র করেই অনিল ও সাইলক্ষ্মীর ঝামেলা চলছিল। সেই ঝামেলাকে ঘিরেই চরম পদক্ষেপ করেন তরুণী।
